রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৪ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৯ পিএম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিদস্যু নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সাত নেতাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশে উপজেলার মাঝিপাড়া লালমাটি এলাকায় জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, রাকিব হাসান, রাহাত মোল্লা, আসিফ দেওয়ান, সানি মালুম ও ইসমাইল হোসেন।
এদিকে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আহত আক্তারুজ্জামানের চাচাতো ভাই সেলিম মিয়া বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর মাস্টারকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
সেলিম মিয়া অভিযোগ করেন, ‘দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টারের নেতৃত্বে এলাকার একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী দাউদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজার নিরীহ মানুষের জমিজমা জোরপূর্বক জবরদখল করে বালু ভরাট করে ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানি করে আসছিল। আর এসব নিরীহ মানুষের পাশে থেকে জবরদখল, বালু ভরাট ও ভূমিদস্যুতার প্রতিবাদ করে আসছিলেন আক্তারুজ্জামানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে প্রতিবাদকারীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় হত্যাসহ নানাভাবে হুমকিধমকি দিয়ে আসছিল তাদের।’
তিনি বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে নিজ বাড়ি কালনী ফিরছিলেন আক্তারুজ্জামানসহ কয়েকজন। তারা মাঝিপাড়া লালমাটি এলাকায় জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন হোটেলের সামনে আসামাত্র জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে রামদা, চাপাতি, কিরিজ, চাকু নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।’
সেলিম মিয়া আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী জালাল, আশিকুল ইসলাম খোকন, রোবেল, বুলবুল, সাজিদ, শাকিল, সজীব, ইমান আলী, শুভ, বিপ্লব, জবল হক, দেলোয়ার, আলামিন, মোতালিব, তৌহিদ, নজরুল ইসলাম, হারিজুল, আসাদুজ্জামান রিফাত, তপু, সাগর, সুমন, সানি, রোবেল, লায়েস, মঞ্জুর হোসেন, গোলজার, আরমান মিয়া ও কাইয়ুম এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা আক্তারুজ্জামানসহ তার লোকদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
অভিযোগের বিষয়ে নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ ঘটনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপঙ্কর চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’