ইজতেমায় আরও ৫ মুসল্লির মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগপাড়ে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমায় আসা আরও পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যের  সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি বলেন, মারা যাওয়া প্রত্যেকেরই জানাজা নামাজ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ফরজ নামাজের পর ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার রাতে ময়দানে আসা পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হয়। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে তারা মারা যান। তারা হলেন মিরপুর ১১ বাসিন্দা মোবাশসের আহমেদ, রাজবাড়ী পাংশা থানার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রামের আনোয়ার থানার মো. আলম, নরসিংদী জেলার শাহনেওয়াজ ভুঁইয়া, সিরাজগঞ্জ আল মাহমুদ।

এর আগে মারা গেছেন আরও ৯ জন। এ ছাড়া ময়দানে আসার সময় এক পুলিশ সদস্যসহ তিন জনের মৃত্যু হয়। এতে এখন পর্যন্ত মোট ১৭ জন মারা গেছেন।

গত তিন দিনে মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন, শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী, ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের, নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন, নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার, একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া, ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম, জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান।

ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া ও ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান।