× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পদ্মার চরে একটি মানবদেহের ৮টি টুকরো

কুষ্টিয়া প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৫ পিএম

আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৪ পিএম

মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারি। প্রবা ফটো

মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারি। প্রবা ফটো

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় পদ্মার চরে পুঁতে রাখা মানবদেহের বিচ্ছিন্ন আটটি খণ্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার হরিপুর চর থেকে যুবক মিলন হোসেনের খণ্ডিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবার বলছে, তিন দিন আগে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন মিলন।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহির মাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পড়ালেখার পাশাপাশি আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতেন তিনি। ১০ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রীকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ঈদগাহের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন মিলন।

স্ত্রী মিমি খাতুন জানান, তার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় সজল আউট সোর্সিংয়ের কাজ করেন। গত ৩১ জানুয়ারি সজলের ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর মিলন হোসেনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

জানা যায়, জিডির পর পুলিশ সজলসহ তিনজনকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিলনকে হত্যার করে পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে আরও দুজনকে আটক করে শুক্রবার রাতে তাদের নিয়ে পদ্মার চরে যায় পুলিশ। তবে ঘন কুয়াশার কারণে রাতে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মিলন হোসেন। ছবি : প্রবা ফটো

আজ শনিবার সকালে আলাদা আলাদা পুঁতে রাখা অবস্থায় মিলনের ৮ টুকরো মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

মিমি খাতুন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বুধবার হাউজিং এলাকার সজল ফোন করে মিলনকে ডাকে। তার সঙ্গে দেখা করে বাসায় এসে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার বের হয়ে যায় মিলন। এরপর থেকে মিলনের খোঁজ মিলছিল না। ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করি। পরদিন দুপুর পর্যন্ত আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর খোলা ছিল। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। গুরুত্ব দিলে আমার স্বামীকে জীবিত উদ্ধার করতে পারত।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার পর মিলনকে উদ্ধারে সজলের সহযোগিতা চেয়েছি। তার হাতে পায়ে ধরেছি। এমনকি সজলকে টাকা দিতেও চেয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সকালে (আজ) শুনতে পারি মিলনের ৮ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।’

বিচার চেয়ে মিমি খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

খুন হওয়া মিলনের শ্বশুর মহিবুল হক অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ প্রথমে মিলনকে উদ্ধারে সেভাবে কাজ করেনি। সময়মতো চেষ্টা করলে হয়তো তাকে জীবিত উদ্ধার করতে পারত পুলিশ।’

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘টুকরো টুকরো করা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদা আদায়ের জন্য অপহরণের পর মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটকদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

তবে মিলনকে উদ্ধারে পুলিশ প্রথমে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে সদুত্তর দেননি তিনি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা