মিয়ানমারে সংঘাত
কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২৯ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৮ পিএম
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের কয়েকটি সীমান্তে বসবাসকারীদের আতঙ্ক কমে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে, রাত নামলেই গোলাগুলির যে ভয়, তা গত দুই দিনে অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে বাসিন্দারা। দুই দিন ধরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে না টেকনাফ ও ঘুমধুম সীমান্তে। তবে এখনও নির্ঘুম রাত কাটছে উখিয়া সীমান্তবর্তীদের।
স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে– কয়েক দিন ধরে দিনে-রাতে সমানে ঘুমধুম, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এপারে গুলি ও মর্টার শেল পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সারা দিন ও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফ ও ঘুমধুম সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানেও এমন কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে টেকনাফ সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তারপরও বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করা আছে।’
উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘দুই দিন ধরে গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও মানুষ আগের ভয়ে রাতে অনেকটা নির্ঘুম থাকছে।’
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সীমান্তে গোলাগুলির কোনো শব্দ শোনেননি তারা।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয়রা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। তবে এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।’
মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ শুরু হয় দেড় বছর আগে। ২০২২ সালে জুলাই থেকে শুরু হয়ে টানা ছয় মাস যুদ্ধ চলে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও সম্প্রতি আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।