বাঞ্ছারামপুরে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নানা প্রশ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে একটি বাড়ি থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

১৩ মাসের ওই শিশুর নাম ইসামাইল। তার মা শান্তা মনির ভাষ্য, ঘুমানোর আগে তার সন্তানকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। রাতে তাকে মৃত অবস্থায় পাই। পুলিশ বলছে, ইসমাইলের বাবা-মায়ের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। এর জেরে বা অন্য কোন কারণ তার মৃত্যুর পেছনে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইসমাইল উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী দক্ষিণপাড়ার নজরুল মিয়ার ছেলে।

মা শান্তা মনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। পরে আমার স্বামী রূপসদী জামাইবাজারের মোসলেম মিয়ার ফার্মেসি থেকে কৃমির ওষুধ নিয়ে আসে। ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়েছি। রাতে দেখি আমার ছেলে মরে আছে।’

ফার্মাসিস্ট মোসলেম মিয়া বলেন, ‘কৃমিনাশক ওষুধ দিয়ে আমি নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে বলেছি। নিয়ম অনুসরণ করলে কোনও অঘটন ঘটার কথা না।’

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা তথ্য পাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় তারপর রাতের বেলা শিশু ইসমাইলকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ালে ঘুমন্ত অবস্থায় সে মারা যায়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিশুর মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।’