× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রধান শিক্ষক নিয়ে বিতর্ক

বিদ্যালয় আসা বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৩০ এএম

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:০৩ এএম

বিদ্যালয় আসা বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা

বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক যোগদান করার পর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। নাসরিন নাহার নামে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বের কর্মস্থলে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে দিচ্ছেন না অভিভাবকরা। 

গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টি। তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) উপস্থিত হয়েছে মাত্র সাত-আটজন। এ নিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গত এক সপ্তাহ ধরে এমন অচল অবস্থা চলছে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক নাসরিন নাহার সম্প্রতি বদলি হয়ে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন। গত ২৪ জানুয়ারি তিনি যোগদান করতে গেলে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখেন। তার যোগদানের খবর জানতে পেরে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক আব্বাস গাজী, মিলন হাওলাদার, স্বপন বিশ্বাস বলেন, ‘নাসরিন নাহার একজন বিতর্কিত শিক্ষক। নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার মধ্যে শিক্ষকের কোনো আদর্শ নেই। তিনি (নাসরিন নাহার) থাকলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ওই স্কুলে পড়াব না।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও অভিভাবক রহমান হাওলাদার বলেন, ‘তার (নাসরিন নাহার) মতো একজন বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক যদি এই স্কুলে থাকে তাহলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া হবে না। তাই আমরা ছেলেমেয়েদের যেতে দিচ্ছি না।’

ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘নাসরিন একজন বিতর্কিত শিক্ষক। আগের স্কুলে থাকাকালীন আলমারিসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রি করেছেন। ওই ঘটনার পরে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করে শাস্তির পরিবর্তে সুবিধা করে দিয়েছেন।’ 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ভালোই চলছিল। কিন্তু নাসরিন ম্যাডাম আসার পর থেকেই ঝামেলা শুরু হয়েছে। অভিভাবকরা তাকে মেনে নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি একেবারে নেই বললেই চলে।’ 

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নান্না মিয়া হাওলাদার বলেন, ‘অভিভাবকরা নাসরিন নাহারকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মানতে চাচ্ছেন না। ছাত্র-ছাত্রীরাও বিদ্যালয়ে আসছে না। এতে লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এখন সমাধান করতে হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাসরিন নাহার বলেন, ‘আমি স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমার পরিবারের সঙ্গে যাদের রাজনৈতিক বিরোধ তারা আমাকে মেনে নিতে পারছে না। আগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাজিরা খাতা আটকে রেখেছেন। আমি নতুন খাতা কিনে সেখানে সই করছি। অভিভাবকদেরও বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা কোনো কিছুতে মানতে নারাজ। এখন কর্তৃপক্ষ যেটা ভালো মনে করে সেটাই হবে।’

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্বে বিদ্যালয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে (নাসরিন নাহার) বদলি করা হয়েছে। যেহেতু তিনি নারী শিক্ষক, তাই নিরাপত্তা বিবেচনা করে তার চাহিদা অনুযায়ী বাড়ির কাছের বিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি সবাইকে ম্যানেজ করে চলতে না পারেন, তাহলে অন্যত্র বদলি করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা