× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ (শহর) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৮ পিএম

আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১১ পিএম

এলাকাবাসীর হাতে ধরা মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ এসআই আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। প্রবা ফটো

এলাকাবাসীর হাতে ধরা মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ এসআই আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। প্রবা ফটো

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় এক মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে কাশিপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজিকান্দা এলাকায় ওই আসামিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার ফজর নামাজের সময় এক নারীর ঘরে প্রবেশ করে মাদক কারবারি ও পুলিশের সোর্স হিসেবে চিহ্নিত সাদ্দাম হোসেন। ওই নারী ঘরের বাইরে থেকে দেখে চিৎকার করলে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে সাদ্দামকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ইয়াবা, সেবনের সরঞ্জাম, দুটি চাকু, তিনটি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা সাদ্দামকে তার কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সাদ্দাম এলাকায় ফিরে এলাকাবাসীকে হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, ‘সকালে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে হই-চই শুনতে পাই। নামাজ শেষে দেখি সাদ্দামকে আটক করে মারধর করছে জনতা। তাকে উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে রাখি এবং পুলিশে খবর দিই। ফতুল্লা থানার এসআই আনোয়ারের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ সময় অনেকেই উপস্থিত ছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর সাদ্দামকে এলাকায় দেখা যায়। জানতে পারি, সে এলাকায় এসে বিভিন্ন জনকে হুমকি দিচ্ছে।’

পঞ্চায়েত প্রধান আলী আক্কাস বলেন, ‘সাদ্দাম এর আগেও বহু অপরাধ করেছে। এলাকাবাসী তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে। কিছু দিন আগে এক নারীর ভিডিওধারণের চেষ্টা করে। এ ছাড়া পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাদক বিক্রি করে সে।’

এ বিষয়ে এসআই আনোয়ার হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সাদ্দাম কোনো অপরাধী না। সে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। কয়েকজন আসামিকে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহযোগিতা করেছে, তাই ষড়যন্ত্র করে তাকে আটক করেছে স্থানীয়রা। মোবাইলগুলো ওর নিজের, অন্যরা ওর পকেটে চাকু ঢুকিয়ে দিয়েছে। তার কাছে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেটাকে অনেক মারধর করা হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ সাক্ষী না হওয়ায় সাদ্দামকে ছেড়ে দিয়েছি।’

নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘কেউ সাক্ষী না হলেও এলাকাবাসী কর্তৃক মাদক ও চাকুসহ আটক করা আসামিকে পুলিশ ছেড়ে দিতে পারে না। এটা আইনের পরিপন্থি।’

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আযম মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা