চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৩ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৫ পিএম
আসামিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা। ডানের ব্যক্তির পরিচয় অজ্ঞাত, মাঝে আসামি, তার বাঁয়ে পুলিশ কর্মকর্তা। প্রবা ফটো
মাঝখানের ব্যক্তি আসামি। তার বাঁয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা। ডানে আছেন অন্য এক ব্যক্তি। মাঝের ব্যক্তির গলায় ফুলের মালা। তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা। এমন একটি দৃশ্যপট ঘেরা ছবি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আসামিকে শুভেচ্ছা জানানোর দৃশ্য।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আসামির নাম দিদারুল আলম সিকদার। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। তাকে শুভেচ্ছা জানানো পুলিশ কর্মকর্তার নাম খালেদা নাসরিন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সদরঘাট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। তাদের সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তির নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
খালেদা নাসরিনের দাবি, আসামি দিদার তার বড় ভাই। কারামুক্তির পর তার বাসায় দুপুরের খাবার খেতে যান বড় ভাই। ছবিটি তখন তোলা হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি আসলে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। এই ছবি নিয়ে সমালোচনা হবে– বুঝতে পারলে ছবিই তুলতাম না।’
তবে আসামিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয়েছে সমালোচনা। ভাই-বোনের সম্পর্ক ছাড়িয়ে পুলিশ-আসামির অবস্থান– বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জনের দাবিতে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বিএনপির যে কয়জন নেতা মাঠে সক্রিয় ছিলেন, তাদের মধ্যে দিদারুল আলম সিকদার অন্যতম। চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে করা মামলা গত ২৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর গতকাল সোমবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান দিদার। মুক্তির পর তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন পুলিশের এএসআই খালেদা নাসরিন।
খালেদা নাসরিন বলেন, ‘দিদারুল আলম আমার বড় ভাই। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনিসহ অন্য ভাইয়েরা দুপুরে আমার বাসায় আসেন। তাদের হাতে ওই সময় ফুল ছিল। ছোট ভাইদের একজন সেই ফুল দিয়ে ছবি তোলেন। আমি যেহেতু বাসায় ছিলাম, তখন আমার পায়ে স্যান্ডেলও ছিল না। ছবিটি কেউ একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এরকম কিছু এখনও আমি জানি না। বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’