নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:১৬ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৭ পিএম
নোয়াখালী শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শহরের বার্লিংটনের মোড়ের দক্ষিণে বসুন্ধরা কলোনির কচি ডাক্তারের বাসার দোতলা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধার হওয়া দুজন হলেন- মেহেদি হাসান শুভ ও তার স্ত্রী তামান্না ইসলাম। মেহেদি ও তামান্না সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তামান্নার বাবা জাকের হোসেনের ভাড়া নেওয়া বাসায় সবাই মিলে থাকতেন। এ ছাড়া সম্পর্কে তারা একে অন্যের খালাতো ভাই বোন ছিলেন। পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একই ঘর থেকে স্বামী স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী হলেও সম্পর্কে খালাতো ভাই বোন। প্রথমে স্বামী তার স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে, তারপর নিজে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় বিছানায় গলাকাটা স্ত্রীর মরদেহ পাওয়া যায়। পাশেই হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়াও সিলিং ফ্যানের সঙ্গে স্বামীর মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সময় স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আর কেউ বাসায় ছিল না। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তামান্নার বড় ভাই হোসাইন আহম্মেদ জানান, তার ছোট ভাই আবদুল্লাহ আল-মারুফ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত রবিবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তার মা-বাবাও হাসপাতালে রয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাত একটার দিকে তিনি খাওয়া শেষে মেহেদি ও তামান্নাকে বাসায় রেখে হাসপাতালে যান। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে দরজায় নক করেন। ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে তিনি পাশের ভবনের ছাদে গিয়ে লাঠি দিয়ে জানালার গ্লাস খুলে দেখতে পান, বিছানার ওপর মেহেদির লাশ ঝুলছে। পরে পুলিশ এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে।