কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৩ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৯ পিএম
দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সত্য চন্দ্র শীল
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি দগ্ধ স্বামী সত্য চন্দ্র শীল মারা গেছেন। শনিবার মধ্যরাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় আগের দিন শুক্রবার অগ্নিদগ্ধ হন তিনি।
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার আবু ছায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সত্য চন্দ্র শীল নিজেই নিজের শরীরে আগুন দেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল হয়ে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।’
কারাবন্দি অবস্থায় আসামি নিজ শরীরে আগুন দেওয়ার সুযোগ কীভাবে পেল- জানতে চাইলে আবু ছায়েম বলেন, ‘সম্ভবত সিগারেট ধরাতে গিয়ে সে লুকিয়ে নিজ শরীরে আগুন দেয়। আমাদের কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’
কারারক্ষীদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কি না—এ বিষয়ে জেলার বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে তিনজন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেল সুপার মো. শফিকুল আলম বলেন, ‘আসামি নিজেই শরীরে আগুন দিয়েছে। আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। কারাবন্দি আসামি অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
গত ২১ জানুয়ারি ভোরে নাগেশ্বরী পৌর এলাকার কবিরের ভিটা গ্রামে নিজ ঘরে স্ত্রী লতা রানীকে কুড়াল দিয়ে হত্যা করা হয়। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী সত্য চন্দ্র শীল কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন তাদেরই দুই ছেলে। পরে ঘরের বিছানার নিচ থেকে রক্তমাখা কুড়াল উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর অভিযুক্ত সত্য চন্দ্র শীল পালিয়ে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা পুলিশের সহায়তায় সীমান্ত এলাকায় ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ২২ জানুয়ারি আদালতে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সত্য চন্দ্র। এরপর তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।