খুলনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:১১ এএম
খুলনায় এক নারীকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। প্রবা ফটো
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে এক নারীকে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসপাতাল থেকে ওই নারী তার মাসহ বাড়ি চলে যাওয়ার সময় ওসিসির সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে ২০ থেকে ২৫ জন এসে নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তদের সহযোগিতা করায় ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করা হয়। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমদের চাচাতো ভাই।
খুলনা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. হোসেন সাফায়েত বলেন, ‘ওই
নারীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি বাড়ি চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে জোর করে তুলে নেওয়া
হয়েছে বলে শুনেছি। ওসিসিতে পুলিশ ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরও যৌথভাবে কাজ করে। এ
বিষয়ে তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিস্তারিত জানা যাবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগ করেন ওই নারী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অনেক দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগকারী ওই নারী একই উপজেলার বাসিন্দা। শনিবার অভিযোগ করার পর রাত সোয়া ১১টায় ওই নারী নিজেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি হন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন, ‘আমাকে হেয় করতে একটি পক্ষ এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
হাসপাতাল থেকে নারীকে তুলে নেওয়ার বিষয়েও কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান।
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী এক নারী খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হন। রবিবার বিকালে তাকে কিছু দুর্বৃত্ত তুলে নিয়ে যায়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং আটকে রাখা ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনাকে ঘিরে যেন কোনো খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঘটনাটি ডুমুরিয়া থানা এলাকায় হওয়ায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডুমুরিয়া
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা বলেন, হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে
তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।