× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সন্ধ্যা নামতেই নদীতে ড্রেজারের দাপট, ঝুঁকিতে জনপদ

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪১ পিএম

আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫০ পিএম

বরগুনার বেতাগী বিষখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো

বরগুনার বেতাগী বিষখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো

বরগুনার বেতাগীতে বিষখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষখালী নদীর তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা জনপদ উপজেলার পৌর শহর ও আশপাশের গ্রামের পর গ্রাম নদীতেই ভাঙছে। ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার। 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনের বেলায় কিছু রাখঢাক থাকলেও তবে সন্ধ্যা নামলেই ড্রেজার নামিয়ে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এ উপজেলার বিষখালী নদীর মোহনায় ২০-২৫টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছেন প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি সরেজমিনেও মিলেছে এ চিত্র। এসময় সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে গা-ঢাকা দেয় বালু ব্যবসায়ীরা। 

নদী তীরবর্তী একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, চোখের সামনে মানুষের সহায়-সম্পত্তি বিষখালী নদীতে বিলীন হতে দেখেও বালু ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকছে না। ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে এখানকার বাসিন্দারা। 

বেতাগী উপজেলা সদরের উত্তর বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাড়ি-ঘর সব নদীতে বিলীন হয়ে গেছে শুধু ড্রেজার দিয়ে বালু কাটায়। নদীতে তেমন ঢেউ নেই, স্রোতও আগের তুলনায় কম; এরপরও নদী ভাঙছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নদীভাঙন রোধে একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ শুরু করলেও এভাবে দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে তা কোনো কাজে আসবে না। কারণ একমাত্র অবৈধভাবে ভাঙন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করাতেই নদী ভাঙছে।’

সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে রাতে আবু কালাম নামে একজনকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আহমেদ এই অর্থদণ্ড দেন। 

এর আগেও বালু ব্যবসায়ী মনির হোসেনকে ৫০ হাজার এবং জাহাঙ্গীর ও রাহাত নামে আরও দুই ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ড্রেজার মালিক সুনীলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ (ইউএনও) বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিষখালী নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়। এ ধরনের আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ ভাঙনকবলিত এ এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। পরিবেশ রক্ষায় অবৈধ ড্রেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং নদী থেকে যাতে কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিপণন করতে না পারে, সেজন্য আগামীতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা