পঞ্চগড় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:২৭ এএম
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০১ পিএম
পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। প্রবা ফটো
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশার সঙ্গে জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা, সঙ্গে হিমেল বাতাস। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার দুদিনের মাথায় আবারও শীতকাতুর এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৫ ডিগ্রির ঘরে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আজ ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ৫ থেকে ১৯ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাপমাত্রার পারদ নেমে আসায় এবং শীতের তীব্রতা বাড়ায় বেশি দুর্ভোগে ও বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের তীব্রতায় অনেকেই ঘরবন্দি জীবন অতিবাহিত করছেন। সকাল সকাল কাজে যেতে না পারার পাশাপাশি রাতের সময়ে গরম কাপড়ের জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।
বোদা উপজেলার নলেয়াপাড়া এলাকার দিনমজুর তরুণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘পঞ্চগড়ায় এত শীত যে কী বলব আর। শীতের কারণে হাত পা’গুলো মনে হচ্ছে কেটে যাচ্ছে। তবুও কাজের সন্ধানে সাইকেল নিয়ে বের হয়েছি।’
তীব্র শীতে আলু মরিচ সরিষাসহ বড় ধানের বীজতলার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শীত মোকাবিলায় কীটনাশক স্প্রে করছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার মালাদাম এলাকার আলু চাষি আনারুল ইসলাম বলেন শীতে আলুতে গোড়া পচাসহ নানা রোগ ধরেছে। বেশি পরিমাণে কীটনাশক স্প্রে করেও ঠেকানো যাচ্ছে না পোকামাকড়ের আক্রমণ।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল মালেক বলেন, তীব্র শৈতপ্রবাহের কারণে জেলার প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার পর্যন্ত দুই দিন বন্ধ থাকলেও কিছু মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি।
জেলা প্রশাসক মাহমুদ জহুরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় ৩৩ হাজার শীতবস্ত্র ও ১ হাজার শুকনো খাবার পাওয়া গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে তা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।