শরীয়তপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০৫ পিএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৬ পিএম
দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর নড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা। প্রবা ফটো
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদরে বাসস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরের এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- সিরাজ সিকদার, মতি শেখ, মিরাজ মিয়া, আলী খাঁ, রুবিনা বেগম, জামিলা খাতুন, আলম বেপারী ও আনোয়ার হোসেন মাদবর। বাকিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আহতদের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আটকরা হলেন- নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম চৌকিদার, নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মামুন মোস্তফা সিকাদর এবং যুবলীগকর্মী রিপন শেখ।
নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে শাহ আলম চৌকিদারের নেতৃত্বে মামুন মোস্তফা সিকদারসহ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র হাতে বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন কাউন্টার দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা মোক্তারেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাবেদ শেখের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন। জাবেদ শেখসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
নড়িয়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভিপি মোস্তফার স্ত্রী নাজমা মোস্তফা বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে নড়িয়া সদর বাসস্ট্যান্ড নিয়ে ঝামেলা চলছিল। আমি যতটুকু শুনেছি, শাহ আলম চৌকিদার ও তার অনুসারীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকা দখল করে রেখেছিল। এখন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির লোকজন নিয়ে জাবেদ শেখ ও তার লোকজন বাসস্ট্যান্ড দখল করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ আমার স্বামীকে নড়িয়া থানায় ধরে নিয়ে গেছে।’
জাবেদ শেখ বলেন, ‘অন্যায়ভাবে শাহ আলম চৌকিদার, ভিপি মামুন মোস্তফা সিকদারসহ শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে বোমা হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০ থেকে ১২ জন মারাত্নক আহত হয়েছেন।’
নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হাসানুজ্জামান খোকন বলেন, ‘শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের নড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে দুটি গ্রুপ আছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন মোক্তারের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়াম্যান শাহ আলম চৌকিদার ও অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন জাবেদ শেখ। তাদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব ছিল। এটা কোনো রাজনৈতিক ঘটনা না।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘নড়িয়া বাসস্ট্যান্ড দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা তিনজনকে আটক করেছি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’