আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৩ পিএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:২৩ এএম
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের সেমিনার অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো
কাজের তুলনায় কাস্টমসে জনবল ও অবকাঠামো কম বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক: বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় সরকারি, বেসরকারি, ব্যবসায়ী সকলস্তরের জনবলকে সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ টিআরএসের ফলাফলে কাস্টমস অংশে সময়ক্ষেপণ কম। অন্য সংস্থার বেশি। এখানে ৮ হাজার ডকুমেন্টেশন হয়। সে তুলনায় জনবল ও অবকাঠামো কম। কাস্টমসের জনবল ও অবকাঠামো সংকট নিরসনে এনবিআর উদ্যোগ নিচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ভ্যাট কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল কমিশনারেটের কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কর কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিকদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক একেএম আকতার হোসেন, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহসভাপতি এএম মাহাবুব চৌধুরী, উইম্যান চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবিদা মোস্তফা।
সেমিনারে ড. মইনুল খান বলেন, ‘কাস্টমসের সঙ্গে ভ্যাট ও করের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পণ্য উৎপাদন যথাযথ হলে আয়কর ও ভ্যাট আদায় বাড়বে।
মূল প্রবন্ধে সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘কাস্টমসের মূল ফোকাস এখন ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন। বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, চোরাচালান রোধ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রতিরোধ, দেশি শিল্পের বিকাশসহ কাস্টমসের অনেক দায়িত্ব। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজস্ব আহরণ। দেশের ২৮ শতাংশ রাজস্ব আসে কাস্টমস থেকে আসে।’
ভ্যাট কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। এ যাত্রা হবে সম্মিলিত-সমন্বিত। পৃথিবীর পরিবর্তন হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। তাই আমাদেরকেও ওই দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘কাস্টমস ১৯৯৬ সাল থেকে অ্যাসাইকুডা ব্যবহার করছে। এটি দেশের তথ্যভাণ্ডার। গর্বিত আগামীর নেতৃত্বদানের জন্য পূণার্ঙ্গ অটোমেশন, কর্মকর্তাদের পেশাগত জ্ঞান ও গৌরবের সংস্কৃতির পারস্পরিক বিনিময় ও প্রসারের মাধ্যমেই তৈরি হবে আগামীর স্মার্ট কাস্টমস।