কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৫৭ পিএম
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২২ ২০:০৯ পিএম
ভোট কেন্দ্রে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী। ছবি : প্রবা
ভোট কেন্দ্রের বাইরে ছবি তোলায় সংবাদকর্মীদের ওপর চড়াও হলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া জাকির। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সুরাইয়ার বাবা সোলায়মান আলী সরকার।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে কয়ারপাড় বীরবিক্রম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী সুরাইয়া জাকিরের বাড়ি রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নে।
এদিন সকাল ৮টা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে চিলমারী ও রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের ভোট শুরু হয়। প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া জাকির রৌমারী উপজেলার ৪৫ রৌমারী কেরামতিয়া আদর্শ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের ভোটার। কিন্তু তার বাবা সোলায়মান আলী সরকার চিলমারী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় এখানে আসেন তিনি।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কয়ারপাড় বীরবিক্রম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন সুরাইয়া জাকির। তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সোলায়মান আলী সরকার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোনায়েম সরদারসহ কয়েকজন লোক। প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী বের হয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রের বাইরে সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করলে তিনি ক্ষেপে যান।
সাংবাদিকদের দিকে চড়াও হয়ে সুরাইয়া জাকির বলেন, ‘এ সাংবাদিকরা ক্যামেরা নামাও, ছবি তোলা যাবে না।’
সুরাইয়া জাকিরের ভোটকেন্দ্র রৌমারী উপজেলার কেরামতিয়া আদর্শ ফাজিল মাদ্রাসার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার এক হাজার ৯১৯ জন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। তিনি ভোট দিয়েছেন কি না জানা নেই।’
এই বিষয়ে কথা বলতে সুরাইয়া জাকিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন রিসিভ হলে অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘তিনি (সুরাইয়া) ফোনটা চার্জে দিয়ে বাইরে গেছেন।’ এরপর সাংবাদিক পরিচয় দিলে, ‘পরে কথা বলেন’ বলে কেটে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোট শেষ হয়েছে। ওনাকে আমার চোখে পড়েনি। কোনো প্রার্থী অভিযোগও করেনি।’