গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৪ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:২১ পিএম
বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত যানজট কমাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুরু হয় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। সরকারের এই মেগা প্রকল্পের এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৬ শতাংশ। এরই মধ্যে ভোগান্তি কমাতে বুধবার ভোগড়া বাইপাস উড়ালপথে একাংশে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও বিভিন্ন সময় এই প্রকল্পের বিমানবন্দর, জসিমউদদীন, হাউসবিল্ডিং থেকে টঙ্গীর কলেজগেট পর্যন্ত এলিভেটেড উড়াল সড়ক, গাজীপুর, সাইনবোর্ড পর্যন্ত ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়। তবে বিআরটির ডেডিকেটেড সড়কের দুই পাশে সড়ক বিভাজক না থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে সাময়িক সময়ের জন্য সাইনবোর্ড ও গাজীপুর দুটি ফ্লাইওভার বন্ধ রাখা হয়েছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, বিআরটি প্রকল্পের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণে প্রতিদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। গাজীপুর শহরের বাইপাস হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে যানজটে আটকে থাকতে হয়। এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ নিয়ে সমালোচনার শেষ ছিল না। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অন্তহীন। তবে কয়েকটি উড়ালপথ খুলে দেওয়ায় এখন অনেকটা কমে আসছে সেই ভোগান্তি। তবে ফ্লাইওভারটির সব লেন খুলে না দেওয়ায় পুরোপুরি সুফল এখনও মিলবে না।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্লাইওভারটির পুরো সুবিধা পেতে সময় লাগবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তিনটি লেনের একটি সচল হয়েছে যানবাহনের জন্য। বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সর্বশেষ তথ্যমতে, বিমান বন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সাড়ে ২০ কিলোমিটার প্রকল্পের অবকাঠামোগত অগ্রগতি হয়েছে ৮৬ শতাংশ। প্রকল্পের গাজীপুর অংশ ঘুরে দেখা যায়, গাজিপুরের প্রথম স্টেশন শিববাড়ি অংশের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন অংশে চলমান রয়েছে স্টেশনের কাজ। চলমান রয়েছে চান্দনা চৌরাস্তার ফ্লাইওভারের কাজও। পুরো প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে সড়ক বিভাজকের কাজগুলো থমকে রয়েছে। কিছু জায়গায় নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় সড়ক সংকুচিত হয়ে রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের ডিসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঢাকামুখী একটি লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ অনেকাংশে কমবে। সামনে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের চলাচল সুবিধা হবে।‘
বিআরটির প্রকল্প পরিচালক এএসএম ইলিয়াস শাহ্ বলেন, ‘আমাদের রুটিনভিত্তিক কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশের বেশি হয়েছে। ভোগান্তি কমাতে ভোগড়া বাইপাসের ঢাকামুখী লেন খুলে দেওয়া হয়েছে।’