× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চাঁদপুরে মানব পাচার চক্রে জিম্মি একাধিক পরিবার

মনিরুজ্জামান বাবলু, চাঁদপুর

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৬ এএম

আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪১ এএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

চাঁদপুরে মানব পাচার চক্রের সদস্যদের হাতে জিম্মি একাধিক পরিবার। ইতালি নেওয়ার নামে লিবিয়া নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে মুক্তিপণ। নির্যাতন সইতে না পেরে প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটছে। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, জেলায় মানব পাচার প্রতিরোধ দমন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দালাল চক্র শনাক্ত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সফিবাদ গ্রামের দিনমজুর ইব্রাহিম ফকির। তিনি স্ত্রী রোজিনা বেগমের নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে ইতালির উদ্দেশে বাড়ি ছাড়েন। লিবিয়ার বেনগাজি শহরের আরবান এলাকায় দালাল চক্রের পাতানো ফাঁদে জিম্মি হয়ে পড়েন। বাড়ি থেকে কয়েক মাস আগে মুক্তিপণের জন্য দালাল চক্রের মাধ্যমে পাঠানো হয় আরও দুই লাখ টাকা। তবু মেলেনি মুক্তি। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যুর খবর শুনে পরিবারের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া। এখন বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইব্রাহিম ফকিরের খালাতো ভাই খোরশেদ আলম। এই খোরশেদ আলমের প্রলোভনে একই গ্রামের আরও তিনজন পাড়ি দেন লিবিয়ায়। তাদের মধ্যে দুজন দেশে ফিরলেও মুক্তি হয়নি ইব্রাহিম ও হাকিমের। লিবিয়ায় আটকে থাকা একদিকে ইব্রাহিমের মৃতদেহ, অন্যদিকে হাকিমকে জীবিত উদ্ধার চায় তাদের পরিবার। এ ছাড়া একাধিক পরিবার থেকে ইতালি নেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি, এমন অভিযোগও রয়েছে। দালাল চক্র খোরশেদ আলম ও তার সঙ্গীদের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠছে গ্রামবাসী।

গেল বছর চাঁদপুরে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ পড়েছে ১৫টি। জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা মামলাগুলো তদন্ত করছে। দালাল চক্রদের কাছ থেকে মুক্তি চায় প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পরিবার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘সফিবাদ গ্রামের চারজনকে ইতালি নেওয়ার নামে লিবিয়ায় আটকে রাখা হয়। দালাল খোরশেদ আলমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মানব পাচার প্রতিরোধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এটি পিবিআই তদন্ত করছে। দালাল চক্রকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে মৃত ব্যক্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।’

মানব পাচার প্রতিরোধ দমন ট্রাইব্যুনালে দেওয়া অভিযোগে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম, তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম, জামাতা রাকিব হোসেন, বোন নুরুন্নাহার ও মিথুন মিয়া। সরজমিনে দেখা মিলল ইতালিতে থাকা খোরশেদ আলমের বিলাসবহুল বাড়ি। ওই বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে তার স্ত্রীসহ মা-বাবা। শুধু কচুয়া উপজেলায় নয়, তার জামাতা রাকিবের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলা থেকে একাধিক মানুষকে ইতালি নেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সব লেনদেন অস্বীকার করেন দালাল চক্রের প্রধান খোরশেদ আলমের বোন নুরুন্নাহার।  

পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ জানান, মানব পাচার প্রতিরোধ দমনে কচুয়া ও মতলবের দুটি মামলা তদন্ত করছে পিবিআই। মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ। আদালতের মাধ্যমে এফআইআর করে অভিযুক্ত দালাল চক্রকে শিগগির আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তদন্তে ইতালি ও লিবিয়াসহ ১০-১২ জনের একটি চক্রের খোঁজ পাওয়া গেছে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা