বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩২ পিএম
পুলিশের এসআই পরিচয় দেওয়া নাজমুল হক। প্রবা ফটো
পুলিশের এসআই পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় ৯টি বিয়ে করেছেন পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামে নাজমুল হক। নিজ জেলায় ৫টি এবং বগুড়ার মোকামতলা এলাকায় ৪টি। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। মোবাইলে পুলিশের পোশাক পরা ছবি দেখিয়ে ভয়-ভীতিও দেখাতেন অনেককে। অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ‘এসআই’ নাজমুল। আটকের পর মামলা হলে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল। এর আগে সোমবার রাতে মোকামতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সোমবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়িতে যান নাজমুল হক। এ সময় তিনি নিজেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিতে চান। এতে সন্দেহ হলে বাসা ফাঁকা নাই বলে তাকে জানিয়ে দেন মঞ্জু শেখ। নাজমুল মঞ্জু শেখের ফোন নম্বর নিয়ে চলে যান। এরপর বিকালে ফোন করে মন্জু শেখের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার চান তিনি। এতে মঞ্জু শেখের সন্দেহ আরও গভীর হলে বিষয়টি মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানান।
তিনি জানান, পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে নাজমুল হক নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে মোকামতলা এলাকায় ৪টি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। এ ছাড়া পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন জনের কাছে তদবিরের নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। পরে সোমবার রাতে পুলিশ তাকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, নাজমুল হকের ব্যবহৃত মোবাইলে পুলিশের পোশাক পরা একাধিক ছবি উদ্ধার করা হয়। এই ছবিগুলো দেখিয়ে তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। ভয় ভীতিও দেখাতেন। তাকে আটকের পর ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।