খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:১৪ এএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৫১ এএম
শিশুরা কুড়িয়ে আনা পাতা, লতা, ফুল পেস্ট করে ফুটিয়ে তোলে নিজেদের মনের ছবি। প্রবা ফটো
চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২০ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ‘বিন্দু বিদ্যানিকেতন’ এ আদিবাসী শিশুদের নিয়ে সমগীত আয়োজন করে ‘শিশু চিত্রকর্মশালা-৪’।
শিল্পী সুমন হালদার এবং শিল্পী অমল আকাশের পরিচালনায় শিশুরা বিভিন্ন রঙের মাটি, কয়লা, ছাই গুলিয়ে ব্যবহার করে রঙের পরিবর্তে। কুড়িয়ে আনা পাতা, লতা, ফুল পেস্ট করে ফুটিয়ে তোলে নিজেদের মনের ছবি।
চিত্রাঙ্কন শেষে সবাইকে সমগীতের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটি করে রঙের বাক্স তুলে দেন ‘বিন্দু বিদ্যানিকেতন’ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তী, শিক্ষক হ্লামংচিং মারমা, হ্লাথুইচিং মারমা, বিমল কান্তি ত্রিপুরা, মিনা ত্রিপুরা, সমগীতের সভাপ্রধান দিনা তাজরিন, সাধারণ সম্পাদক বীথি ঘোষ।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পরিচালিত এই কর্মশালা নিয়ে শিল্পী সুমন হালদার বলেন, পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা চাইলেই তাদের মনের ছবি ফুটিয়ে তুলতে পারে তাদের চারপাশে পড়ে থাকা লতা-পাতা, মাটি গুলিয়ে কিংবা রান্না ঘরের কয়লা দিয়ে। আমরা তাদের এই ভাবনাগুলো উসকে দিতে চেয়েছি। ছবি আঁকতে চাইলে আমরা যে কোনো কিছু দিয়েই আঁকতে পারি, এই উৎসাহটুকু তাদের মনে সঞ্চারিত হলেই আমাদের এই কর্মশালা সার্থক হবে।’
শিল্পী-সংগঠক অমল আকাশ বলেন, শিল্পী এসএমসুলতান শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন ‘শিশুস্বর্গ’, আমরা তাই তার জন্মশতবর্ষ উৎযাপনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা ভাষাভাষী, জাতিগোষ্ঠির শিশুদের নিয়ে ধারাবাহিক এই চিত্র কর্মশালার কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কর্মশালা পরিচালনা করে আমরা দেখেছি, শিশুরা যে কোনো নতুন বিষয়কেই খুব দ্রুত এবং আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করছে। আমরা প্রথম প্রথম মনে করতাম বাচ্চারা বোধহয় বুঝতে পারছে না, কিন্তু কাজ শেষে দেখা গেছে দুর্দান্ত সব শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়েছে তাদের হাত দিয়ে।’