কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৩০ পিএম
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৬ পিএম
কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের এই জেলার জনজীবন। প্রবা ফটো
কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলায় আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে; যা মৌসুমের সর্বনিম্ন। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের এই জেলার জনজীবন। এছাড়া তীব্র শীতে বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। এদিকে তাপমাত্রা কমায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেলার কলেজ ব্যতীত সকল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস বলছে, রাতে তাপমাত্রা আরও কমবে।
জেলার বাসিন্দারা বলছেন, কনকনে ঠান্ডায় গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে বিপাকে রয়েছেন জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার মানুষজন। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে। এতে সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছেন তীব্র ভোগান্তিতে। এ ছাড়া তীব্র ঠান্ডায় সবজিক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কৃষক।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের রিকশাচালক আক্কাস আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা। এতো ঠান্ডায় রিকশার হ্যান্ডেল ধরে রাখা যায় না। দুই হাত বরফ হয়ে যায়।’
দিনমজুর নুর ইসলাম মিয়া বলেন, ‘এখন জমিতে কাজ করে সংসার চালাই। ঠান্ডার কারণে ওয়া গাড়া (চারা লাগানো) দুষ্কর। হাত-পা প্রায় নিবোধ (অবশ) হয়ে যায়। কাজ না করলে সংসারও চলে না। মহাবিপদে আছি।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মহন্ত বলেন, ‘তাপমাত্রা ৫-৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে সেক্ষেত্রে বীজতলার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশ কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আপাতত বীজতলাগুলো প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, ‘আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।’
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে কলেজ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শীতে ছিন্নমূল মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।