ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৪ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৮ পিএম
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের চাঁদা দাবি ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফেনীর সোনাগাজী মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ইরাক প্রবাসী আমির হোসেন। রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে পালগিরি গ্রামের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনে করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন বলেন, প্রবাসের কষ্টার্জিত টাকায় পালগিরি মৌজার ৬০ শতাংশ জমির বায়না করি। এর মধ্যে পারিবারিক কবস্থানের জন্য ২ শতাংশ জমির দলিল করি। মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান সেলিমের সঙ্গে বায়নাপত্রের বিষয় পরামর্শ করতে বসি। তিনি কাগজপত্র দেখে বলেন এই জায়গা নিয়ে সমস্যা আছে, তোমার অনেক টাকা খরচ হবে। কত টাকা জানতে চাইলে, তিনি পাঁচ লাখ টাকার কথা বলেন।
তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় উত্তেজিত হয়ে খারাপ আচরণ করেন। ‘জায়গা কীভাবে দখলে নাও, দেখে নেব’ বলে হুমকি দেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানের জায়গায় বাউন্ডারি দিয়ে জবরদখল করতে সেলিম মেম্বার ইট নিয়ে আসেন। এ সময় আমি ও আমার বাবা সামাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে জায়গার কাগজপত্র দেখিয়ে মালিকানা দাবি করি। পরে কিছু অপরিচিত লোকজন নিয়ে এসে ভিডিও ধারণ করে নানারকম হুমকি দেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সোনাগাজীর ইউএনও, মডেল থানার ওসিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’