বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২২ পিএম
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান। প্রবা ফটো
বরগুনার বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় এজাহারনামীয় অন্যতম আসামি মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০টায় বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতি মেঘলা আক্তার এবং তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কান্তি মন্ডল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজহারের বরাতে তিনি জানান, ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান ও ইউপি সদস্য মো. রেজাউল ইসলামের মালিকানাধীন সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সোমবার বিকেলে উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী প্রসূতি মেঘলা আক্তারকে ভর্তি করানো হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সবুজ কুমার দাস, পরিচালক মো. রেজাউল ইসলামসহ পাঁচ থেকে ছয়জন মিলে প্রসূতি মেঘলা আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করেন। রাত পৌনে ১১টায় অপারেশন থিরিটারে অপারেশনের সময় প্রসূতি মেঘলা আক্তার ও নবজাতকের মৃত্যু হয়। এরপর হাসপাতালের মালিক, ডাক্তার ও নার্সসহ সব স্টাফরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি প্রসূতি মেঘনার বাবা ছগির হোসেন বামনা থানায় ডাক্তার সবুজ কুমার দাসকে প্রধান আসামি করে হাসপাতালের তিন মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
ওসি বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল মিজানুর রহমানকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে বরগুনা জেলার বামনা থানায় হস্তান্তর করা হলে আজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।