জিএম কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ
রংপুর অফিস
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১১ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩১ পিএম
রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় জাপা চেয়ারম্যানের বাসভবনে যান ট্রান্সজেন্ডার আনোয়ারা ইসলাম রানী। প্রবা ফটো
রংপুর-৩ আসনে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রান্সজেন্ডার আনোয়ারা ইসলাম রানী।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে নগরীর সেনপাড়ায় জাপা চেয়ারম্যানের নিজ বাসভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। তারা দুজন প্রায় আধা ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
জিএম কাদের রানীর পারিবারিক অবস্থা, তার কর্মকাণ্ড, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে আগামীতে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ কিংবা ‘তৃতীয় লিঙ্গের’ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাসও দেন।
রানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে আমি হেরেছি। সেই ফলও মেনে নিয়েছি। এখন রাজনৈতিক শিষ্টাচারের অংশ হিসেবে নবনির্বাচিত এমপিকে আমি ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালাম। রাজনীতিবিদরা এমন রাজনৈতিক শিষ্টাচার অন্তরে ধারণ করলে দেশে দ্বন্দ্ব, হাঙ্গামা, লড়াই থাকবে না। সবাই মিলে সুন্দর সমাজ, রাষ্ট্র গঠন করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘নবনির্বাচিত এমপি মহোদয় আমাকে ডেকেছিলেন। তিনি আমাকে উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯০ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টি রংপুরবাসীর কাছে ঋণী হয়ে আছে। আগামী ৫ বছর জিএম কাদের রংপুরবাসীর ঋণ শোধ করার চেষ্টাসহ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় ছিলেন ট্রান্সজেন্ডার আনোয়ারা ইসলাম রানী। রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে তিনি ভোটের ফলাফলেও ভালো করেছেন। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে এসে প্রদত্ত ভোটের ২১ শতাংশ পেয়েছেন।
রাজনীতিতে প্রবেশের বিষয়ে রানী বলেন, ‘আমি জনগণের দলে আছি এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়েই থাকতে চাই। কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হব কি-না, এমন সিদ্ধান্ত এখনও নিইনি। সময় এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সিদ্ধান্ত নেব।’
এই নির্বাচন ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এনেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রংপুরের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে মানুষ হিসেবে মানুষকে গ্রহণ করতে হয়। রংপুরের মানুষ মানুষকে সম্মান করতে শিখেছে। আমি প্রায় ২৪ হাজার ভোট পেয়েছি। অবহেলিত মানুষ হওয়া সত্ত্বেও ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। আরও পরিবর্তন করতে হবে। আমি রংপুরবাসীর সঙ্গে থাকতে চাই। তাদের সেবায় সারা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।’