× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রূপগঞ্জের মাটিতে ভূমিদস্যুদের জায়গা হবে না : গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৪ পিএম

আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৩ পিএম

রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকার মাতাপাড়া মাঠে রংধনু গ্রুপের পক্ষ থেকে দরিদ্র ও অসহায় ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই নেতা। প্রবা ফটো

রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকার মাতাপাড়া মাঠে রংধনু গ্রুপের পক্ষ থেকে দরিদ্র ও অসহায় ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই নেতা। প্রবা ফটো

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মাটিতে কোনো ভূমিদস্যুর জায়গা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। 

তিনি বলেছেন, ‘ভূমিদ্যসুরা জমি জবরদখল করে আপনাদের রোহিঙ্গা বানাতে চায়। আপনারা নিজেদের জমি রক্ষা করতে যার যা আছে তা নিয়ে প্রতিহত করবেন। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা নেবেন। কাউকে ভয় পাবেন না। ওপরে আল্লাহ আছেন মাটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়েছেন। প্রয়োজনে আমাদের জানাবেন। আমি এবং আমার রফিকুল ইসলাম (রংধনু গ্রুপের চেয়্যারম্যান) রয়েছি আপনাদের পাশে।’ তার এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের আস্থার মূল্যায়ন করবেন গোলাম দস্তগীর গাজী। আপনারা আপনাদের জমিতে যাবেন। আবার ফসল উৎপাদন করবেন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি।’

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকার মাতাপাড়া মাঠে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী রংধনু গ্রুপের পক্ষ থেকে দরিদ্র ও অসহায় ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা এসব কথা বলেন।



শীতবস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ পূর্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘এবারও আপনারা ভূমিদস্যুদের ভোট না দিয়ে আমাকে এমপি বানিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি যখন প্রথম এসেছি তখন আপনাদের চলাচলের সড়ক ছিল না। আমি বলেছিলাম সড়ক নির্মাণ করে দেব; করে দিয়েছি। সড়ক নির্মাণের পর থেকে এ এলাকায় ভূমিদস্যুদের নজর পড়ে। তারপর থেকে আপনাদের তিন ফসলি জমি জবরদখল করে নেওয়া শুরু করেছে। আপনারা জানেন, এবার তারা আমাকে হটিয়ে নৌকা প্রতীক আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার নেত্রী তাদের না দিয়ে আমাকেই দিয়েছেন। আমার নেত্রী জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিদস্যুদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।‘ 

রূপগঞ্জে ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, ‘আপনাদের জবরদখল করে রাখা জমিতে যাবেন। আবার আগের মতোই ফসলের চাষ করবেন। এতে যদি কেউ আপনাদের বাধা দিতে আসে, তাদের প্রতিহত করবেন। প্রয়োজনে আমাদের জানাবেন। আমি এবং আমার রফিকুল ইসলাম রয়েছি আপনাদের পাশে। আপনারা নির্ভয়ে আপনাদের জমি বুঝে নেবেন। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা নেবেন। ইনশাল্লাহ রূপগঞ্জের মাটিতে কোনো ভূমিদস্যুর জায়গা হবে না। দাউদপুরের জনগণ ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করেছে। আশা করি, আপনারাও তাদের প্রতিহত করবেন। ভূমিদ্যসুরা আপনাদের জমি জবরদখল করে আপনাদের রোহিঙ্গা বানাতে চায়। আপনারা তা হতে দিয়েছেন তো মরেছেন। নিজেদের জমি রক্ষা করতে বঙ্গবন্ধুর ডাকের মতো আপনাদের যার যা আছে তা নিয়ে প্রতিহত করবেন।’ 



বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন দুদিন আগে ভূমিদস্যুদের দুইশ টাকা দামের কম্বল কায়েতপাড়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোশা বিতরণ করেছে। আপনারা কিন্তু এই দুইশ টাকার কম্বল পেয়ে তাদের মিথ্যাচারে পড়বেন না। পড়েছেন তো সব হারিয়েছেন। একটা কথা মনে রাখবেন, এরা আপনাদের বলবেআমরা আপনাদের উপকার করতে এসেছি; এই দেব সেই দেব; এসবে বিশ্বাস করবেন না। বিশ্বাস করেছেন তো মরেছেন। তারা সব গিলে খাবে।’

তিনি বলেন, ‘দশ দিন আগে জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়েছে। তখন আপনারা দেখেছেন ভূমিদস্যু গ্রুপের প্রধান তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে বলেছে, রূপগঞ্জে তারা যাকে বলবে তারাই নৌকা পাবে। এমনভাবে বলেছে মনে হয়েছে সে-ই নৌকার মালিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকেও শক্তিধর ব্যক্তি। পরে কী দেখেছেন; জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সে চাপাবাজিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দিয়েছেন। গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) মহোদয়ের ওপর আস্থা রেখেছেন তিনি। গাজী সাহেব নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর এরা তাদের পছন্দমতো একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। তা ছাড়া নানামুখী ষড়যন্ত্র করেছে, যাতে তারা পুতুল এমপি বানিয়ে সাধারণ মানুষের জমি জবরদখল করতে পারে। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপি নামের একটি রাজনৈতিক সংগঠন থেকে মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারকে প্ররোচিত করেছে রূপগঞ্জে নির্বাচন করার জন্য। করিয়েছেও, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।’



যেকোনো মূল্যে ভূমিদস্যুদের মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘আপনারা জনগণ গাজীতেই আস্থা রেখেছেন। আপনাদের আস্থার মূল্যায়ন করবেন তিনি। আপনারা আপনাদের জমিতে যাবেন। আবার ফসল উৎপাদন করবেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে সব সময় রয়েছি।’

এর আগে দুপুর থেকেই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড, গ্রাম ও মহল্লা থেকে দরিদ্র ও অসহায় নারী-পুরুষরা দলে দলে মাতাপাড়া মাঠে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে আসতে শুরু করে। বেলা ৩টার দিকে মাতাপাড়া মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। একপর্যায়ে ওই কর্মসূচি জনসভায় রূপ নেয়।

রফিক সাহেবের কোনো তুলনা হয় না

বিতরণ করা খাদ্য ও বস্ত্রসামগ্রীর মধ্যে ছিল, চাঁদর, শাড়ি, সোয়েটার, চাল, ডাল ও তেল। সহায়তা নিতে আসা দরিদ্র ও অসহায় নারী-পুরুষরা বলেন, ৩০ বছর ধরে আমরা রংধন গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী সহায়তা পেয়ে আসছি। এ ছাড়া বিয়ে, পূজা, ঈদসহ নানা উৎসব-পার্বণ ও দুর্যোগে তাকে আমরা পাশে পেয়েছি। রফিক সাহেবের কোনো তুলনা হয় না।

শেখ সাঈদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেনকায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল। বক্তব্য দেন রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, মাহাবুবুর রহমান মেহের, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবলীগের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ লায়ন শাহিন মালুম, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ শফিকুল ইসলাম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, হাজী ইয়ার হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, কাঞ্চন পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আসাদ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনসহ অনেকে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেনউপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহানা আক্তার, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাঞ্জু, রাজু হাসান আলেক, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক করিম পাঠান,  যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি জোসনা মহিউদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার, তারাব পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনা আকতার, ইউপি সদস্য মাকসুদা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, বাবুল মিয়া, যুবলীগ নেতা শওকত আলী ইমন, ইউপি সদস্য মাছুম মিয়া, মোক্তার হোসেন, নজরুল ইসলাম, আব্দুল হাই, সফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, হাবিবুর রহমান, আব্দুল মান্নান, সালাউদ্দিন, ইমান আলী প্রমুখ। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা