এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া (কক্সবাজার)
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৮ পিএম
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৪ পিএম
তীব্র শীতে জবুথবু দেশ। ভরদুপুরেও দেখা মিলছে না সূর্যের। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষরা। রাত নামতেই গরম কাপড়ের অভাবে এসব মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে কয়েকগুণ। তবে শীতার্ত এসব মানুষের পাশে রাতে কম্বল বিতরণ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম।
শীতের শুরু থেকেই চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাতের আঁধারেই অসহায় মানুষের পাশে কম্বল নিয়ে ছুটতে দেখা যায় ফখরুল ইসলামকে। কনকনে হিমেল হাওয়ার মধ্যে গরম কাপড়ের সন্ধান মেলায় স্বস্তি প্রকাশ করে শীতার্ত মানুষরাও। এজন্য উকারভোগী সবার কণ্ঠেই ছিল কৃতজ্ঞতা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষদের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত নিবারণের জন্য কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। ওইসব আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশাপাশি মসজিদের ইমাম, এতিমখানার বাচ্চাদের কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পুরো উপজেলায় কম্বল বিতরণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের জন্য ৭ হাজার ৬শ’ কম্বল প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা এসব কম্বল বিতরণ করছেন।
ফাঁসিয়াখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আমাদের থাকার কোনো ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জমিসহ ঘর দিয়েছেন। এখন আবার তীব্র এই শীতের মধ্যে কম্বল নিয়ে হাজির হয়েছেন খোদ ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম। আমরা খুব খুশি। এই কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এই ব্যবস্থা না হলে আমাদের খুব কষ্ট হতো।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন প্রচণ্ড শীত পড়ছে এই অঞ্চলে। তাই হতদরিদ্র, অসহায় ও রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষদের শীত নিবারণের জন্য কম্বল প্রদান করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে এসব কম্বল বিতরণ করছি। এ ছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের জন্য কম্বল পাঠানো হয়েছে।