মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩৪ এএম
আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও নগরায়নের ফলে পিঠা উৎসব আজ বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে কিশোরগঞ্জের সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্যভাবে সাজানো হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। পিঠা উৎসবে অংশ নেয়া ছাত্রীরাও সাজে আবহমান বাংলার নানান সাজে। মোট ১০টি স্টলে হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা।
নবাবি সেমাই, হৃদয় হরন, বাহারি গোলাপ, বউপিঠা, জামাই পিঠা, পুলি পিঠা ও চন্দ্র পুলি, চিংড়ি পিঠা, মুরালী, সতির মোচড়, চিকেন ঝাল পিঠা, কাবাবী সেমাই, পাকন পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটাসহ নানা নামের ও রংয়ের মুখরোচক পিঠা স্থান পায় স্টলগুলোতে।
সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মাখন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনতোষ বিশ্বাস।
প্রধান অতিথি অ্যাড. জিল্লুর রহমান বলেন, বাঙালি হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী, আর শীতের সময় পিঠাপুলির স্বাদ সব থেকে ভালো পাওয়া যায় গ্রামে। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মাখন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রামের পিঠা-পুলির আমেজকে ফুটিয়ে তুলতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের কারণে আমাদের গ্রামের সেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি। এবার এ উৎসবে বিলুপ্তি হওয়া সহ নতুন নতুন পিঠা নিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে।