প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৯ পিএম
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:২৩ পিএম
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পাঠকপাড়া গ্রামের আগাম জাতের আলু ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন একদল নারী ক্ষেতমজুর। প্রবা ফটো
আগাম জাতের আলু চাষে লাভের মুখ দেখায় হাসির ঝলক দেখা গেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকের মুখে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে অন্তত চারগুণ লাভ হয়েছে কৃষকের। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আলু। এ কারণেই কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৫-৩০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ২২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার পলিশিবনগর গ্রামের আলুচাষি হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছি। মাত্র ৫৬ দিন পরেই ক্ষেত থেকে নতুন আলু তুলতে শুরু করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুক্ষেতে তেমন রোগবালাই না ধরায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলু চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার টাকা। জমি থেকেই পাইকাররা প্রতিকেজি ৪৪ টাকা দরে কিনে নিয়ে গেছেন। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে অন্তত দেড় লাখেরও বেশি টাকা লাভ হবে হবে। ফলন ও দাম দুটোই আশানুরূপ পেয়েছি।’
গোপালপুর গ্রামের যোতিশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রায় চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করেছি। দুয়েক দিনের মধ্যে আলু তোলা শেষ হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আলুর উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম হয়েছে। বর্তমানে আলুর বাজার দর ভালো থাকায় আশানুরূপ লাভ হবে।’
আলুর পাইকারি ক্রেতা কালুকান্ত দত্ত বলেন, ‘আগাম জাতের এসব আলু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বছর আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, ‘আগাম জাতের আলু চাষের বিষয়ে উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ১৫ মেট্রিক টন। বাজারে নতুন আলুর ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা লাভবান হয়েছেন। এ ছাড়া ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে আলু উত্তোলনের পর ওই জমিতে ভুট্টা কিংবা বোরো ধান চাষ করতে পারবেন কৃষক।