প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:২৬ পিএম
মাঘের শীতে গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ছাত্রছাত্রী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রবা ফটো
দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কনকনে শীতের পর বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির মধ্যে অন্তত ১০ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার মধ্যে মাঘের শীতে শৈত্যপ্রবাহ ও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিতে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গোপালগঞ্জ : গত প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে কনকনে শীতের পর আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গোপালগঞ্জে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড শীত আর বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরাও। রাস্তায় কমে গেছে জানবাহন চলাচল।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবারও। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১২ দশমিক ৭ হলেও শনিবার মেঘ কেটে যাওয়ার পর তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় মাঘের বৃষ্টিতে হাঁড় কাপানো শীত পড়ছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আজকে এক দিনর জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর পর ভোরের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যায়। সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, এখন থেকে আগামীদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবে।
যশোর : তীব্র শীতে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় যশোরে
বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এ বৃষ্টির হয় সকাল ১০টা
পর্যন্ত।
শীতের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিঘ্ন
ঘটেছে কর্মজীবী মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তরের ওয়ারেন্ট অফিসার নাজমুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে জনজীবনে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।
অটোরিকশা চালক মমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ভোরে শীতের সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে।
তার সঙ্গে বাতাস তো আছে। বৃষ্টি ও শীতে কারণে ইজিবাইক চালাতে কষ্ট হচ্ছে। অন্য বছর
বিভিন্ন সংগঠনের থেকে কম্বল পেলেও এ বছর কোনো কম্বল পাইনি।
রিকশাচালক
রহমান বলেন, এ শীতে হাত-পা সব কালা হয়ে যাচ্ছে। রিকশার হ্যান্ডেল ধরে রাখা যায় না।
তবুও পেটে কি আর এসব মানে? বাড়ির লোকের কথা চিন্তা করলে শীত পলায় যায়।
জেলা ত্রাণ ও পুর্বাবাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, জেলার অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৬১ হাজার কম্বল বরাদ্দ ছিল। তার মধ্যে ৫৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৭৫ হাজার কম্বলের চাহিদার কথা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি করতে সহযোগিতা করেছেন গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর প্রতিবেদক