উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩১ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৭ পিএম
উলিপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম। প্রবা ফটো
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওই এলাকার হাতিয়া ভবেশ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে কর্মরত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ‘বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও চাকরিতে নিয়োজিত কোনো ছাত্রছাত্রী ছাত্রলীগের কমিটিতে কোনো সদস্য হতে পারবে না।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নজরুল ইসলাম অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদে কর্মরত। তিনি বিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে নিয়মিত বেতন (এমপিও) উত্তোলন করছেন।’
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম উলিপুরের ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জেলা শহরের মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন। নজরুল ইসলামকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সভাপতি করে উলিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। নজরুল বিদ্যালয়ে এমএলএস পদে চাকরিরত থাকলেও, সেই তথ্য গোপন করে কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান। এক বছর মেয়াদি ওই কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি নজরুলের নেতৃত্বাধীন আংশিক কমিটি। উপজেলায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমও স্থবির।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলামের নিয়োগের বছর ও এমপিও কার্যকর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম ২০২২ সালে এমএলএস পদে নিয়োগ পান।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলামকে ফোন দিলে এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার সঙ্গে বসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। নজরুল বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি এখন ব্যস্ত আছি। আপনার চায়ের দাওয়াত থাকল।’
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চাকরিরত থেকে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না বলে, তিনি সংযোগ কেটে দেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুর রশিদ নোমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সভাপতির বিরুদ্ধে চাকরিরত থাকার অভিযোগ শুনেছিলাম। তবে আমি নিশ্চিত নই। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা হয়নি।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘চাকরিরত কেউ ছাত্রলীগ করতে পারে না। এটা গঠনতন্ত্র বিরোধী। নজরুলের বিষয়টি আমার জানা নেই। চাকরিরত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’