× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নির্বাচন-পরবর্তী অস্থিরতা

মামলার জালে উত্তপ্ত নবীনগর

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৩ পিএম

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৭ পিএম

নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক (বাঁয়ে), সাবেক এমপির পিএ সাইফুর রহমান সোহেল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক নেতা মমিনুল হক সাঈদ (ডানে)।

নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক (বাঁয়ে), সাবেক এমপির পিএ সাইফুর রহমান সোহেল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক নেতা মমিনুল হক সাঈদ (ডানে)।

নির্বাচনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একের পর এক হামলার ঘটনায় ভারী হচ্ছে মামলার পাল্লা। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে তিনটি। এর মধ্যে দুটি নবীনগর থানায় ও একটি আদালতে দায়ের করা হয়। তিন মামলার আসামি ৩৫ জন। তাদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নবীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। একাদশ সংসদে এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন একই দলের এবাদুল করিম বুলবুল। এবারও তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের পর হামলার ঘটনায় প্রথম মামলাটি হয় ১৩ জানুয়ারি নবীনগর থানায়। মামলার বাদী সাবেক এমপি এবাদুল করিমের অনুসারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও লাউর ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সাদেক। এতে একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে জাকির হোসেন সাদেকের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের দিন নিজ এলাকা বাশারুকে ভোট দিয়ে ফেরার পথে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয় বলে জাকিরের অভিযোগ।

দ্বিতীয় মামলাটি করেছেন এবাদুল করিমের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) সাইফুর রহমান সোহেল। নবীনগর থানায় ১৪ জানুয়ারি ১০ জনের বিরুদ্ধে করা এই মামলার প্রধান আসামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক নেতা মমিনুল হক সাঈদ। তার বাড়ি নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ এলাকায়। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলের অনুসারী বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে।

সাইফুর রহমানের অভিযোগ– উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সলিমগঞ্জে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মমিনুল হক সাঈদের নির্দেশে সাবেক এমপি এবাদুল করিমের গাড়িবহরে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও সাইফুরকে মারধর করা হয়।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক এমপি এবাদুল করিম বুলবুল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমার গাড়িতে হামলা হয়নি, হামলা হয়েছে আমার পিএ সোহেলের গাড়িতে। তার গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে, সোহেল আহত হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।’

জানতে চাইলে মমিনুল হক সাঈদ বলেন, ‘আমার কোনো অনুসারী সোহেলকে (সাইফুর রহমান) মারধর করেনি। সাবেক এমপির পিএ সোহেল বিগত দিনে এলাকার মানুষকে নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ওইসব লোক বিক্ষুব্ধ হয়ে তার গাড়িতে হামলা চালিয়েছে।’

তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘বরং শুক্রবার এলাকায় আমি সভা করতে আসার সময় আমার লোকজনের ওপর সাবেক এমপির পিএ সোহেলের লোকজন হামলা চালিয়েছে।’

নিজে মামলা করার দুদিন পর মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সাইফুর রহমান সোহেলের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আদালতে অভিযোগ আনা হয়। তাকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন মনির মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি সাইফুরের করা মামলার আট নম্বর আসামি।

মনির মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকা থেকে এলাকায় মমিনুল হক সাঈদ ভাই মিটিং করতে আসলে আমরা মোটরসাইকেলে করে সাঈদ ভাইকে স্বাগত জানাতে যাই। পথে সাবেক এমপির পিএ সোহেলের লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমরা প্রাণ বাঁচাতে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাই। প্রতিকার পেতে আদালতে মামলা করি।’

জানতে চাইলে বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল বলেন, ‘এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেউ অস্বাভাবিক করে তুলতে চাইলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’

নবীনগর থানায় হওয়া মামলা দুটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ওসি জানান, জাকির হোসেনের মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের মধ্যে ছয় থেকে সাতজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। সোহেলের মামলার প্রধান আসামি ছাড়া বাকি সবাই আদালত থেকে জামিনে আছেন।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা