প্রবা প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৮ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩১ পিএম
আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। প্রবা ফটো
বরিশালের হিজলা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসেস নামের একটি হাসপাতালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আম্মান হাওলাদার, মাসুদ সিকদার, মো. আনিচ, বরকত সিকদার। তারা সবাই এনায়েত হাওলাদারের অনুসারী। অপর পক্ষের আলমগীর হাওলাদার, সোলায়মান হাওলাদার ও সোয়েব হাওলাদার। তারা বড়জালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরন হাওলাদারের অনুসারী।
আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি জানান, হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হাওলাদার ও বড়জালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরন হাওলাদারের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এনায়েত হোসেন হাওলাদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ’দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না। তাই তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের পক্ষে কাজ করেছেন। এজন্য মনোনয়ন পেয়েও দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় প্রার্থিতা বাতিল হওয়া ড. শাম্মী অনুসারীরা ক্ষুদ্ধ ছিল। দুপুরে রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসেস নামের ক্লিনিকে অন্তঃসত্ত্বা রোগীর অস্ত্রপচারের জন্য রক্ত দিতে যায় মাসুদ সিকদার নামে আমার এক অনুসারী।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখান থেকে বের হওয়ার পর হিরণ হাওলাদারের অনুসারী সোলায়মান, আলমগীর ও লোকমানের নেতৃত্বে ছয় থেকে সাতজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে আমার ছেলে আম্মান সেখানে গেলে তার ওপরও হামলা করা হয়। পরে আনিচ, বরকত সিকদারসহ ছয় সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে তারা।’
অভিযোগ সম্পর্কে হিরন হাওলাদার বলেন, ‘সোমবার হিজলা ডিগ্রি কলেজে এনায়েত হাওলাদারের লোকজন আমাদের অপমান করে। আজকের হামলার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি, দুই ভাই ও ভাতিজা গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে।’
ওসি জুবাইর বলেন, ‘দুই পক্ষের হামলায় সাতজন আহত হয়েছে। তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’