× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

লক্ষ্মীপুরে কাঠমিস্ত্রি হত্যা মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪৯ পিএম

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৩ পিএম

সাজাপ্রাপ্ত কাউসার হোসেন ও রাকিব হোসেন। প্রবা ফটো

সাজাপ্রাপ্ত কাউসার হোসেন ও রাকিব হোসেন। প্রবা ফটো

লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় রিয়াজ হোসেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তারা দুজনেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলো- রিয়াজের সহকর্মী কাউসার হোসেন ও রাকিব হোসেন। কাউসার সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের পশ্চিম যাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও রাকিব তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদধর্মপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।

নিহত রিয়াজ দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের মৃত খোকনের ছেলে।

পিপি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় আসামি কাউসার ও রাকিব দুজনেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিয়াজকে অপহরণের কথা বলে রাকিবের পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তারা কারাগারেই ছিলেন।’

২০২৩ সালের ১ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মামলা রায় প্রদান করেন। 

অভিযোগপত্র থেকে আসামিদের দেওয়া জবানবন্দি সূত্রে জানা গেছে, কাউসার চন্দ্রগঞ্জের কামারহাট বাজারে একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করত। এক পর্যায়ে তাকে বাদ দিয়ে রিয়াজকে কাজে নেয় দোকান মালিক। তবে কাউসার ও রিয়াজ আগে থেকেই পরিচিত ছিল। রিয়াজ বিভিন্ন সময় কাউসারকে ডেকে এনে নকশার কাজ করাত। 

এর মধ্যে রিয়াজ তার ভাই দ্বীন ইসলামের মান্দারী বাজার ফার্নিচারের দোকানে কাউসারকে কাজ করতে বলে। এতে কাউসার রাজি হয়। পরে দুজনে একসঙ্গে সেখানে কাজ করত। কিছুদিন পর রিয়াজ ফেনীতে কাজ করতে চলে যায়। পরে কাউসারকেও সেখানে নিয়ে যায় সে। কাউসার সেখানে কাজ করলেও তাকে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। এক সপ্তাহ পর রিয়াজ এলাকায় এসে কাউসারের কাছ থেকে বাসা ভাড়া চায়। এতে রাগান্বিত হয় কাউসার। তাকে শাস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করে কাউসার।

তারা দুজন এক সঙ্গে থাকাকালীন চেতনানাশক ওষুধ খেত। ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে রিয়াজ ফোন করে কাউসারকে চেতনানাশক ওষুধ বানাতে বলে। একই দিন রাতে ভাড়া বাসায় তারা দুজনে চেতনানশক ওষুধ খায়। কিন্তু কাউসার কৌশলে রিয়াজের পানিতে ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে রাখে। পরে কাউসার তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর রিয়াজকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। পরদিন কাউসার তার জেঠাতো শ্যালক রাকিবকে ফোন দিয়ে আনে।

পরে রিয়াজের পরিবারকে অপহরণের কথা বলে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এতে রিয়াজের ভাই রুবেল ৫০ হাজার টাকা দেবে বলে জানায়। পরে রুবেল বিকাশে তাকে ২ হাজার টাকা পাঠায়। পরে তারা রিয়াজের মরদেহ কোথায় আছে তা জানিয়ে দেয়। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার এড়াতে তারা চট্টগ্রামের একটি আবাসিক হোটেলে উঠে। হত্যার ঘটনায় নিহত রিয়াজের মা খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

১৬ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর আসার পথে কাউসারকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে কাউসারের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের হোটেল থেকে রাকিবকেও গ্রেপ্তার করা হয়। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা