× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

খাল খনন নিয়ে মুখোমুখি কৃষক ও এলজিইডি

নাঈম ইসলাম, শেরপুর

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:১৯ পিএম

আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:২৬ পিএম

শেরপুরের নকলায় খাল খননের বন্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন কৃষকরা। প্রবা ফটো

শেরপুরের নকলায় খাল খননের বন্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন কৃষকরা। প্রবা ফটো

শেরপুরের নকলায় খাল খননের উদ্যোগে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে কৃষক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কৃষকদের অভিযোগ, প্রয়োজন ছাড়াই কিছু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থে খাল খননের এই উদ্যোগে তিন ফসলি জমি হারাবেন তারা। অবিলম্বে এ প্রকল্প বন্ধে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করছেন তারা। তবে কর্তৃপক্ষের দেড়শ বছরের পুরোনো খাল ফিরিয়ে আনতেই এই প্রকল্প। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাদের ক্ষতি হবে এমন কিছু করা হবে না। 

জানা গেছে, নকলা উপজেলার চন্দ্রকোণা ইউনিয়নের মৃগী নদীর মোহনা থেকে মেহেদীডাঙ্গা পর্যন্ত জমিগুলো একসময় জলাশয় ছিল। কিন্তু ১৯৮০ থকে ১৯৮২ সালের ভূমি জরিপে এসব জমি ব্যক্তিমালিকানাধীন হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। তবে সম্প্রতি মৃগী নদীর মোহনা থেকে মেহেদীডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জমিতে খাল খননের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২ কোটি টাকা। এলজিইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেড়শ বছরের পুরোনো এই জায়গায় একসময় খাল ছিল। পরবর্তীতে সময়ের পরিক্রমায় তা ভরাট হয়ে যায়। কিন্তু শুরু থেকেই এ প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। 

উপজেলার হজুরি কান্দা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমগোর বাপ-দাদার আমল থেকেই এখানে ধান, গম, ভুট্টা চাষ করে সংসার চালাইতাছি। আমগোর অন্য কোনো আবাদি জমি নাই। সারা বছর ধানসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যও আবাদ করি এবং তা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাই। খাল খুইদা আমগোর পেটে লাথি মারিয়েন না। আমগোর খাল দরকার নাই।’

আরেক কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ জমির কাগজপত্র আমাদের। কীভাবে আমাদের সঙ্গে কথা না বলে খাল খননের উদ্যোগ নেয়! কিছু টাউট-বাটপার লেগেছে এই খাল খননের পেছনে। আর এসব টাউট-বাটপারের কাজই হলো গরিবের হক নষ্ট করা। এখানে খাল হলে আমাদের তিন ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হবে। আমাদের তখন না খেয়ে থাকতে হবে।’

চন্দ্রকোণা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আব্দুস সোবহান বলেন, ‘এখানকার প্রায় সবাই কৃষক। মাঠের ফসল বিক্রি করে যা পায় তা দিয়েই চলে সন্তানদের পড়াশোনা ও সংসারের খরচ। এখানে খাল খনন করা হলে কোনো উপকারে আসবে না। উল্টো ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হবে।’     

তবে ভিন্নমত পোষণ করেন চন্দ্রকোণা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান গেন্দু। তিনি জানান, ‘এই খাল খনন হলে স্থানীয় কৃষকদের উপকার হবে। এই খালে সবসময় পানি থাকবে। এই পানি ধানসহ বিভিন্ন আবাদে সেচকাজে ব্যবহার করতে পারবে।’

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘নকলার এ খাল প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো। সময়ের পরিক্রমায় এখন সেটি ভরাট হয়ে গেছে। তাই স্থানীয়রা হয়তো সেখানে চাষাবাদ করেন। সরকার এটি খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সবার সার্বিক সহযোগিতা চাই। আর কাজ এখনও শুরু হয়নি। উদ্যোগ যদি বাস্তবসম্মত হয়, যদি ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি হয়, তাহলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করব। আর যদি লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়, তাহলে প্রকল্প বাতিল করা হবে। আমরা অবশ্যই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করব। এখনও আলোচনা করার সুযোগ আছে। সরকার সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা