জাতীয় সংসদ
সুবল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৯ এএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:০৯ পিএম
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে গঠিত হয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রাম থেকে ঠাঁই পেয়েছেন ক্লিন ইমেজের তিন এমপি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। এবার চট্টগ্রামের ডজনখানেক নারীনেত্রীর নাম আলোচনায় রয়েছে। তাদের অনেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।
ওয়াসিকা আয়েশা খান বর্তমানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক। ওয়াসিকা ছাড়াও সংরক্ষিত আসনে এমপির মনোনয়ন দৌড়ে আলোচনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রয়াত সাবেক চসিক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহধর্মিণী হাসিনা মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুল্লাহ আল হারুনের মেয়ে শামীমা হারুন লুবনা, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমদের সহধর্মিণী শিরিন আহমদ, প্রয়াত সাবেক এমপি ডা. আফসারুল আমীনের স্ত্রী কামরুন নেছা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসিসহ অনেকে।
তারা ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও নবনির্বাচিত স্থানীয় এমপিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সব বিষয় বিবেচনায় যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন।’
মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছি। এর বাইরে দলের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। সুযোগ হলে আবারও আদর্শ সমুন্নত রেখে কাজ করব। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই শিরোধার্য।’ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে সরে দাঁড়িয়েছি। সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তা-ই হবে।’ অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ে আমি কাজ করেছি। সুযোগ পেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করব।’