আশুলিয়ায় ডাকাতের সঙ্গে গোলাগুলি, নিরাপত্তাকর্মী নিহত

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ডাকাত দলের সঙ্গে স্থানীয়দের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় একটি কারখানার একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার আমির দেওয়ানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আব্দুল কাদের। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। কুটুরিয়া এলাকার নীট ২০০৭ লিমিটেড কারখানার নিরাপত্তাকর্মী তিনি। তার মাথা, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নীট ২০০৭ লিমিটেডের মার্কেটিং কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে ডাকাতের হামলায় আমাদের কারখানার নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল কাদের আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’

এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী বলেন, ‘আব্দুল কাদেরকে ভোর ছয়টার দিকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আড়াই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি মারা যান। তার চোখ ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০-১২ জনের ডাকাত দল স্থানীয় আমির দেওয়ান, মামুন দেওয়ান ও মালেক দেওয়ানের বাড়িতে হানা দেওয়ার চেষ্টা করে। তিনজনের বাড়ি পাশাপাশি। মামুন ও মালেকের বাড়িতে ঢুকতে ব্যর্থ হলেও ডাকাত দল আমিরের চার তলা ভবনের তিন তলার গ্রিল কেটে ফ্ল্যাটে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করার চেষ্টা করে। এ সময় আমিরের ভাই মজিবর বুঝতে পেরে চিৎকার করলে তার ছেলে ডাকতদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পাল্টা ডাকাতরাও গুলি ছোড়ে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এর মধ্যে স্থানীয়রা জড়ো হতে হতে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় ফারুক দেওয়ান বলেন, ‘ডাকাতরা পালানোর সময় ওই বাড়ির পাশে একটি কারখানার তিনজন নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে এসে বাধা দেন। তখন ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল কাদের বিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান তিনি।’

আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, ‘ভোরে কুটুরিয়ায় ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। গুলি নাকি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’