কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৬ পিএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৬ পিএম
পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ।
২১ দিন পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব আহমেদকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে খুলনার একটি হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপুরে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পারিবারিক বিরোধ থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। স্ত্রীর ওপর অভিমান করে তিনি এই কয়দিন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন। প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা বেগম বলেন, ‘প্রতিটি সংসারেই একটু-আধটু কলহ থাকেই। নিখোঁজ হওয়ার পর গতকাল আমার স্বামী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন তিনি বাড়িতে আসতেছেন।’
পারিবারিক বিরোধের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিবের বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সান্টু জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তার ভাইয়ের পারিবারিক কলহ ছিল। তাই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি (রাজিব) আত্মগোপনে চলে যান।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে জানতে পারি তিনি ফিরে এসেছেন। পরে আমরা গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি।’
রাজিব আহমেদ পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি ভেড়ামারা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। গত ২২ ডিসেম্বর সকালে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ দাবি করে পরিবার। রাতে কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রাজিবের স্ত্রী রায়হানা পারভীন। পরে তাকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেন পরিবারের লোকজন।
রাজিবের স্ত্রী রায়হানা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি খোকসাতেই আছি। গতকাল আমাকে ফোন দিয়ে তিনি সরাসরি এখানে আসেন। তিনি আমাকে বলেন তাকে যেন কিছু জিজ্ঞেস না করি। পরে আমি শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানাই। তারা আসার পর রাত ১১টার দিকে স্বামীকে নিয়ে থানাই যাই। থানায় আমি জিডি তুলে নেওয়ার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ভেড়ামারার বাড়িতে নিয়ে যায়।’
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘রাজিব মানসিকভাবেও কিছুটা বিপর্যস্ত। আত্মগোপনে যাওয়ার পর তিনি একাধিক সিমও ব্যবহার করেছেন। প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’