× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মেয়াদ বাড়ে কাজ শেষ হয় না

এমবি কাজী নাছির, শরীয়তপুর

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩৫ এএম

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫১ এএম

দুই দফা টেন্ডারের পর সাত বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি ভাষাসৈনিক ড. গোলাম মাওলা সেতুর। এতে শরীয়তপুরের নড়িয়া, সখিপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগ। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো

দুই দফা টেন্ডারের পর সাত বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি ভাষাসৈনিক ড. গোলাম মাওলা সেতুর। এতে শরীয়তপুরের নড়িয়া, সখিপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগ। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদরে কীর্তিনাশা নদীর ওপর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাষাসৈনিক ডা. গোলাম মাওলা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়নি সতি বছরেও। ফলে নড়িয়া ও সখিপুরসহ ভেদরগঞ্জ উপজেলাবাসীর ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে সহজ যোগাযোগের মাধ্যম এ রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষকে। 

তবে উপজেলা এলজিইডির দাবি, বারবার নকশা পরিবর্তন ও সেতুটির পশ্চিম পাশে জায়গা অধিগ্রহণে জটিলতায় দীর্ঘদিন সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

নড়িয়া উপজেলা এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে কীর্তিনাশা নদীর ওপর ভাষাসৈনিক ডা. গোলম মাওলা সেতুটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দুই বছর ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড নিয়েই সেতুতে যানবাহন চলাচল করলেও ২০১৭ সালে সেতুটি নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় এলজিইডি। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ১৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান করে। কাজ পায় মেসার্স নাভানা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০১৯ সালের জুন মাসে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কয়েকবার মেয়াদ বাড়ানোর পরও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একটি ভায়াডাক্ট, এভার মেন্টওয়েল ও দুটি পিলারের আংশিক সহ ৩০ শতাংশ কাজ শেষ করে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করে কাজটি বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের জুন মাসে নকশায় পরিবর্তন করে উড়াল সেতু নামে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে নড়িয়া উপজেলা এলজিইডি। কাজ পায় শরীয়তপুর সদরের মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তার মেয়াদও প্রায় এক বছর পূর্বে শেষ হয়ে গেছে।

এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার মোক্তারের চর, জপসা, নশাসন, রাজনগর, নড়িয়া পৌরসভা, কেদারপুর, ভুমখাড়া, চাকধসহ প্রায় ২০ ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে। 

নড়িয়ার মোক্তারের চর এলাকার রমিজ মিয়া, গনি শেখ, আলী মীর বলেন, ঠিকাদার ও এলজিইডির গাফিলতির কারণে আমাদের নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শহরের লাখ লাখ মানুষকে বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ও মামলামাল পরিবহনে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। 

নড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী করিম মোল্লা, রিপন ঘোষ বলেন, ঢাকা থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সেতুটি ব্যবহার করা হতো। গত সাত বছরেও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে সময় ও অর্থ বেশি খরচ হচ্ছে। 

মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ওয়াহাব মাদবরের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

নড়িয়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী শাহাব উদ্দিন খান বলেন, প্রথমে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছিল যথাসময়ে কাজটি শেষ করতে না পারায় আমরা তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার করি। বর্তমানে যে ঠিকাদার সেতুর প্রায় ৪১ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করলেও যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। তবে কাজটি সম্পন্ন করার সুবিধার্থে পুনরায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। 

শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান ফরাজী বলেন, ‘আগের ঠিকাদার চলে যাওয়ার পর নতুন করে যে প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে তিনি কাজ করছেন। ভূমি অধিগ্রহণ ও নকশা জটিলতায় আমাদের সেতুটি নির্মাণে দেরি হচ্ছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা