খুলনা সিটি করপোরেশন
খুলনা অফিস
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:০৫ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১১ পিএম
খুলনা সিটি করপোরেশনের(কেসিসি) লাইসেন্স বিভাগের আত্মসাৎ করা ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৪০ টাকা ফেরত দিতে ৪ কর্মচারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেসিসির সচিবের দপ্তর থেকে ওই চার কর্মচারীকে নোটিস দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) কেসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরতের জন্য নোটিস দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। নোটিসে আত্মসাৎকৃত টাকার মধ্যে কেসিসির লাইসেন্স পরিদর্শক (বাণিজ্য) মনিরুল ইসলামকে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ টাকা, কাজী মনজুর উল আলমকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ টাকা, শেখ শাহেদ হাসানকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ টাকা এবং মো. হাবিবুর রহমানকে ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৬২০ টাকা কেসিসির ফান্ডে জমা দিতে বলা হয়েছে।
কেসিসির সচিবের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও যানবাহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লাইসেন্স বিভাগ ক্যাশ শাখা থেকে ২০৪টি মেমো রশিদ বই গ্রহণ করে। করপোরেশনের বার্ষিক অডিটের সময় এই বইগুলোর মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স বিভাগ ১৯৩টি অডিট টিমের কাছে হস্তান্তর করে। বাকি ১১টি বই জমা দিতে পারেনি লাইসেন্স শাখার কর্মচারীরা।
বিষয়টি প্রকাশিত হলে তদন্ত কমিটি গঠন করে কেসিসি। তদন্ত কমিটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট চার কর্মচারীকে ১১টি বই জমা দিতে বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়। কিন্তু তারা মেমো বই জমা দেয়নি। পরে ট্রেড লাইসেন্স বিভাগ থেকে লাপাত্তা হওয়া বইয়ের আওতায় জমা নেওয়া সমুদয় টাকা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ কর্মচারীর কাছ থেকে আদায় করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
কেসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে পৃথক চার কর্মচারীকে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪০ টাকা করে মোট ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৪০ টাকা আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব বিভাগে জমা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিসে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে কেসিসির নিয়মানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাকা আত্মসাৎ ও ফেরতের নির্দেশনার বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।