রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:১০ পিএম
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৯ পিএম
রাজশাহী-২ আসনের নৌকার পরাজিত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা। প্রবা ফটো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিঘ্নিতকরণ, নির্বাচনী আচরণবিধি ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন রাজশাহী-২ আসনের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) প্রার্থীর পক্ষে তার আইনজীবী এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে জমা দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচার শুরু থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সুনির্দিষ্টভাবে কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। ভোটের দিন সকালে সংবাদমাধ্যমের সামনে আমি সিটি করপোরেশনের এই ভূমিকা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করি। সিটি করপোরেশনের সর্বোচ্চ ব্যক্তির নির্দেশে, কয়েকজন ব্যতীত সব ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুবিধাভোগীদের কার্ড আটকে রেখে কাঁচি প্রতীকে ভোট দিতে হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আমি অভিযোগও করি। নির্বাচনের আগের রাতে ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজাম উল আজিমকে এসব তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী আটক করেও নিয়ে যায়। যদিও আর সব ওয়ার্ডে সেই একই প্রক্রিয়া চলমান থাকে।
নির্বাচনের দিন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজস্ব বাহিনী প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের ভোটারদের চিহ্নিত করে তাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত করেন। ক্রমাগত হুমকি ও ভয়ভীতির কারণে ভোটের দিন ভোটাররা নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেননি। যার প্রভাব পড়েছে ভোট প্রদানের হারে। রাজশাহী-২ আসনে এ কারণেই ভোট গ্রহণের হার ২৬ শতাংশের কাছাকাছি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন অব্যাহত রাখেন, যা শুধু আচরণবিধি লঙ্ঘনই নয়, গুরুতর অনিয়ম ও রাষ্ট্রীয় আইনেরও লঙ্ঘন। তাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা উত্থাপিত অভিযোগগুলো যথাযথ তদন্তের আবেদন জানান।