বরিশাল-৬
প্রবা প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৪ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:২৬ পিএম
নাসরিন জাহান রতনা। প্রবা ফটো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন বরিশাল-৬ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান রতনা। জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রতনা দলীয় লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বরিশাল-৬ আসনে ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ২০১৮ সালের ভোটে বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নাসরিন জাহান রতনা এবারও এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পান। আওয়ামী লীগের এই আসনে ছাড় দেওয়ার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত দেয়নি। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক প্রার্থী হন। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, ভোটে তৃতীয় হয়েছেন নাসরিন জাহান রতনা। তার প্রাপ্ত ভোট ৯ হাজার ১৮৮। নাসরিন জাহান রতনা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কাস্টিং মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পাননি। তাই তার জামানত ফেরত পাবেন না। তবে এত কম ভোট পাওয়া মেনে নিতে না পারা জাতীয় পার্টির নেতারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
২০০৪ সালে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন নাসরিন জাহান রতনা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে তিনি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়েছিলেন। নবম সংসদে সংরক্ষিত সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নেননি। বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর এলাকায় সামান্যও উন্নয়ন করেননি। জনসম্পৃক্ততা না থাকায় সাধারণ ভোটাররা তাকে ভোট দেননি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর আর তার (রতনা) দেখা পাওয়া যায় না। শুধু আসা আর যাওয়া। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তেমন মেশেননি। কোনো উন্নয়ন করেননি।
উপজেলার দুধল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে (রতনা) এলাকায় দেখা যায় না। এলাকার কোনো কাজে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তিনি ভোট পাননি।’
চরামদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহাবউদ্দিন খোকন বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর একবারও তাকে (রতনা) দেখিনি। সাধারণ মানুষ তাকে কীভাবে দেখবেন।’
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘তিনি (রতনা) আসতেন। সাধারণ মানুষও তার কাছে আসত।’
রতনা এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন দাবি করে বিপ্লব বলেন, ‘তার সময় বাকেরগঞ্জের মানুষ শান্তিতে ছিল। কারও কোনো অভিযোগ ছিল না।’
এত কম ভোট পাওয়ার বিষয়ে বিপ্লব বলেন, ‘দুয়েক দিনের মধ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। এত কম ভোট পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা হবে।’