মৌলভীবাজার-২
সালা উদ্দিন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:২২ পিএম
জেলার চারটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন। এ আসনে তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় লড়াই হবে ত্রিমুখী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (নৌকা), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী (সোনালী আঁশ), স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান (ট্রাক)। এর মধ্যে সফি আহমদ সলমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এ আসনে এই তিন প্রার্থীকে ঘিরে জমে উঠেছিল ভোটের আমেজ। ভোটারদের মুখে মুখে তাদের নাম। এ তিন প্রার্থী গণসংযোগ ও পথসভায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নানা আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের কর্মী-সমর্থকরাও জোর প্রচার চালিয়েছে। এখন শুধু ভোটের পর ফল পাওয়ার অপেক্ষা।
তবে ভোটের মাঠে ইমেজ সংকটে সাবেক সংসদ সদস্য এমএম শাহীন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকে সোনালী আঁশ প্রতীকে লড়ছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিকল্পধারার প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়াও সফি আহমদ সলমান জাসদের রাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে একসময় তাকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হন তিনি। তিনিও নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। না পেয়ে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। যার প্রভাব রয়েছে ভোটের মাঠে।
নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় পরিচয়। তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এবার নাদেল নৌকার টিকিট পাওয়ায় আসনটি ২২ বছর পর মহাজোটের গ্যাঁড়াকল থেকে মুক্ত হয়েছে। নিজের দলীয় পরিচয় আর সরকারের উন্নয়নের প্রভাব রয়েছে এ প্রার্থীর ভোটের মাঠে। চা-বাগানের ভোটব্যাংকও রয়েছে নৌকার পক্ষে। এ ছাড়া নাদেলের নানা বিশকুটি (রহ.) পীর ছিলেন। নির্বাচনে তার অনুসারীদের ভোটের প্রভাব থাকবে।
এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেনÑ স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন (কাঁচি), জাতীয় পার্টির আব্দুল মালিক (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোসাইন রাহমানী (মিনার), বিকল্পধারার মো. কামরুজ্জামান সিমু (কুলা) ও ইসলামী ফ্রন্টের এনামুল হক মাহতাব (মোমবাতি)।