× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঠাকুরগাঁও-১

সহজ জয়ের পথে নৌকার প্রার্থী

রহিম শুভ, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১১ পিএম

আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:২৭ পিএম

 মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রমেশ চন্দ্র সেন। প্রবা ফটো

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রমেশ চন্দ্র সেন। প্রবা ফটো

ঠাকুরগাঁও-১ আসন মানেই হেভিওয়েটদের লড়াই। সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চারবারের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ লড়াইয়ে চোখ থাকে সবার। কিন্তু এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়া এবং শক্তিশালী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অনেকটা নিশ্চিত বিজয়ের পথে নৌকার প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। 

১৯৮৬ সালের পর থেকে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

আসনটিতে মোট ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী, আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজিউল ইসলাম এবং মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের রফিকুল ইসলাম। 

তবে রমেশ চন্দ্র সেন ছাড়া অন্যদের তেমন পরিচিত নেই ভোটারদের কাছে। পুরো প্রচারণায়ও সত্যতা মিলেছে এমন তথ্যের। বেশিরভাগ সময়ই ভোটের মাঠ ছিল নিরুত্তাপ। নৌকার প্রার্থী ছাড়া কেবল লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর গণসংযোগ ছিল। বাকিদের ভোটের মাঠে দেখা যায়নি। ভোটাররা আবারও নৌকা নিশ্চিত বিজয়ের পথে বলে মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতা জমজমাট না হওয়ায় আফসোসও করেন অনেকে। 

পৌরসভার মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, এ আসনে ৩৮ ভাগ সংখ্যালঘু ভোটার আছে। তাদের মধ্যে অনেকে ভোট দেবে। তবে যদি বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করত তাহলে খেলা জমত। কারণ এটা বিএনপির মহাসচিবের বাড়ির এলাকা এখানে বিএনপির ভোটারসংখ্যা বেশি।

হাজীপাড়ার বাসিন্দা আবু তারেক বলেন, এটা কেমন জাতীয় নির্বাচন বুঝতে পারছি না। কারণ পাঁচজনের মধ্যে চারজনকেই কেউ ভালোমতো চেনে না। তাই ভোটারদের কোনো কদর নেই। সদর আকচা ইউনিয়নের ভোটার মকলেসুর রহমান বলেন, তিন মাস আগে থেকে প্রার্থীরা ভোট চাইতে আসে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইত। কিন্তু সেই আগের কদর দেখা মেলেনি। ব্যানারও দেখি না। মাইকিং নাই। ভোট দিতে যাই কি না, তার ঠিক নাই। কারণ রমেশ বাবু তো এমপি হয়ে গেছে। 

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ আগরওয়ালা বলেন, এই নির্বাচনে এখন আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ভোটারদের উপস্থিতি। যেভাবে হোক ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিয়ে আসতে হবে। রমেশ চন্দ্র সেন এর আগেও আসনটি থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আসনে অনেক উন্নয়ন করছেন। আর অসম্পন্ন কাজগুলো যেন করতে পারেন সে জন্য আমরা নৌকার হয়ে কাজ করেছি।

নিরুত্তাপ ভোটেও নৌকার প্রার্থীর এক বক্তব্যে তোলপাড় হয় সারা দেশেই। গণসংযোগের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নারগুন ইউনিয়নের এক পথসভায় গত ২১ ডিসেম্বর বলেছিলেন, সরকারি সুবিধাভোগী ভোটাররা যদি কেন্দ্রে না আসে, তাহলে সুবিধাভোগীর তালিকা থেকে তাদের নাম কেটে দেওয়া হবে। এ বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। 

পরে ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ লুৎফর রহমানের দপ্তরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের লিখিত জবাব দেন তিনি। নৌকার প্রার্থী লিখিত জবাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি আর কখনও এ রকম ঘটনা ঘটাবেন না।

এদিকে আসনটিতে বিএনপির ভোটব্যাংক থাকলেও আজকের নির্বাচনে ভোটারদের মতামতের প্রতিফলন হবে না বলে মনে করেন বিএনপির নেতারা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হামিদুর রহমান বলেন, আমরা যারা বিএনপি করি তারা বাসায় থাকতে পারছি না। আমাদের লুকিয়ে লকিয়ে থাকতে হয়। এই একতরফা নির্বাচনে ভোটারদের কোনো মূল্যায়ন নেই। আগে নির্বাচন হলে উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই ভোটকেন্দ্রে যায় ভোট দিতে। চারদিকে পোস্টার ব্যানারে পুরো শহরে ঢেকে যেত। এখন কিছু নেই। এখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে গেছেন। ফলে বেশির ভাগ ভোটার নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হবে। ১৫ থেকে ২০ ভাগ ভোট পড়তে পারে। আমরা আমাদের পার্টি অফিসে যেতে পারি না সব সময় ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকে সেখানে।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মির্জা ফখরুল ইসলামের ভাই মির্জা ফয়সাল আমিন বলেন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়ি হওয়ায় এখানে বিএনপির সমর্থন কিছুটা বেশি। ফলে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আমরা ইতোমধ্যে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে না যায় সেজন্য লিফলেট বিতরণ করছি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা