মৌলভীবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৪ পিএম
আহমদ রিয়াজ উদ্দিন। প্রবা ফটো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সরে দাঁড়িয়েছেন মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহমদ রিয়াজ উদ্দিন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
লাইভে রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা চিত্তে তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যারা আমাকে সমর্থন করেছিলেন, আমার পাশে ছিলেন। আগামীকালকে (৭ জানুয়ারি) যে সংসদ নির্বাচন সে নির্বাচনে আমি একজন প্রার্থী ছিলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন সাহেব। তিনি সরকার দলের এমপি। প্রশাসনের ওপর আমার কোনো অভিযোগ নেই। বড়লেখা এবং জুড়ী দুইটা উপজেলার প্রশাসন, পুলিশ কর্মকর্তা, ওসি সবসময় আমার সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রেখেছেন আমাকে সহযোগিতা করেছেন। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার সবাই সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু একজন মন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচন করতে গিয়ে বেলা শেষে যেটা বুঝতে পারলাম এই নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাই না যে, আমাকে যারা সমর্থন করে, আমাকে যারা ভালোবাসে, আমাকে যারা ভোট দেবে, তারা হয়রানির শিকার হোক, মামলা-মোকদ্দমার শিকার হোক, তা আমি কখনোই চাই না। তাই এই নির্বাচন থেকে আজকে আমি সরে গেলাম। আগামীকাল ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আপনারা কেউ আসবেন না। আপনারা যারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন তারা আসবেন।’
আহমদ রিয়াজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের। আমি বয়কট করছি কিন্তু ব্যালট পেপারে লাঙ্গলের মার্কা থাকবে, তবে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য কেউ কেন্দ্রে আসবেন না। সবার জন্য শুভ কামনা।’
এ বিষয়ে কথা বলতে আহমদ রিয়াজ উদ্দিনের ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে মূল লড়াইয়ে ছিলেন জাতীয় পার্টির আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন। এ আসনের অপর প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ময়নুল ইসলাম (ট্রাক) এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (সোনালী আঁশ)।
আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬৩৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ১৬১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৭ জন ও ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ১ জন।