মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৮ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৯ পিএম
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের বক্তব্য সংগ্রহে ইউটিউবারদের ভিড়। প্রবা ফটো
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ঈগল মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক) তারা জমজমাট প্রচারণা করেছে। তার প্রচার-প্রচারণা ও সভার ভিডিও রেকর্ড করছে শত শত ফেসবুকার, ইউটিউবার ও টিকটকাররা। এরপর সেগুলো তাদের বিভিন্ন পেজে প্রচার করছে। এভাবে তারা লাখ লাখ টাকা আয়ও করেছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, যেখানেই নির্বাচনী সভা হয়েছে সেখানেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজের মালিক বা অ্যাডমিনরা সঙ্গে সঙ্গে গেছে। প্রচার-প্রচারণার বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করে সেগুলো সম্পাদনা করে তাদের পেজে আপলোড করছে। আবার কেউ কেউ লাইভও দেখাচ্ছে। আর মুহূর্তে তা লাখ লাখ ভিউ হয়েছে। পাশাপাশি তারাও আয় করেছে লাখ লাখ টাকা।
নয়া দামান নামে একটি ফেসবুক পেজের মালিক সোহেল আহমেদ। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘সুমন ভাইকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার কন্টেন্ট ও বিভিন্ন সভার ভিডিও রেকর্ড করে ফেসবুক ও ইউটিউবে আপলোড করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা স্থানীয় বিভিন্ন পেজের মালিক টাকা আয় করছি। গত সপ্তাহে আমি একটি ভিডিও আপলোড করে প্রায় ২০ হাজার টাকা (২০০ ডলার) আয় করেছি। এভাবে শতাধিক পেজের মালিকসহ ইউটিউবাররা তাকে নিয়ে কাজ করেছে।’
ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল অভিনেতা শুকুর আলী। তিনি বলেন, ‘সুমন ভাইকে নিয়ে অনেকেই ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে টাকা আয় করছে। এর মধ্যে এম টিভি, প্রিন্সিপাল মোখলেছুর রহমান, ভাই ভাই কৃষি মিডিয়া, রাসেল সাউন্ড মিডিয়া, ইমন দা হেল্পার, নয়া দামান, মুক্তা পরিবহন, বিজি ভিলেজ, এসটিভি, এলএক্স শিফন উল্লেখযোগ্য।’
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘কোনো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার হওয়ার পর প্রথম দায়িত্ব থাকে যুবসমাজকে স্বাবলম্বী করা। আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগেই যুবকরা আমাকে দিয়ে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করেছে। তাহলে বুঝেন, আমি নির্বাচিত হলে তারা আরও বেশি ইনকাম করতে পারবে। গ্রামের ভাষায় একটা কথা আছে না, হাতি বাঁচলেও লাখ টাকা, আর মরলেও টাকা-- বিষয়টি অনেকটা সে রকম।’