সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০২ পিএম
বুধবার শিশু খানের নেতৃত্বে মিছিল করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহর সমর্থকরা। প্রবা ফটো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহর সমর্থক শিশু খানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত নোটিসে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
খায়রুল বাসার ও মজিবুর রহমান চৌধুরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ নোটিস দেয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
নোটিসে বলা হয়, ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী নামক স্থানে কাজী জাফর উল্লাহর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি মিছিলের নেতৃত্ব প্রদান করেন শিশু। উক্ত মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনায় পরিলক্ষিত হয় যে, একই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িবহর উক্ত এলাকায় এসে পৌঁছলে আপনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা লাঠি উঁচিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় ওই এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া এ বিষয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনার নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর গাড়িবহর অবরুদ্ধ করে আচমকাই বৈঠা মিছিল করেছেন এবং নৌকা নৌকা স্লোগান দিয়ে নিক্সন চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিক্সনের গাড়িবহর দেখে জাফর উল্লাহর সমর্থকদের বৈঠা মিছিল শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
নোটিসে আরও বলা হয়, আপনি এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে অনভিপ্রেত গোলযোগ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দ্বারা শান্তিভঙ্গ করেছেন, যা সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ১১(গ)-এর লঙ্ঘন। বিষয়টি নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কেন নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরণ করা হবে না, এ মর্মে ৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টার মধ্যে কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ফরিদপুরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেবেন।