সাময়িক বরখাস্তের খবরকে গুজব বললেন অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম

সাময়িক বরখাস্তের খবরকে গুজব বলে আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সাময়িক বরখাস্ত) হামিদুল আলম। এ ছাড়াও এই খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ৬টা ৫৫মিনিটে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পোস্টের মাধ্যমে এ দাবি করেন তিনি।

তিনি পোস্টে লেখেন, ‘আসছালামুআলাইকুম, প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দ ফেসবুকসহ সোস্যাল মিডিয়ায় আমাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।’ 

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার প্রজ্ঞাপনে হামিদুল আলমকে জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। 

বুধবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হামিদুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা এবং একই সঙ্গে তাকে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করার বিষয়ে অনাপত্তি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে জানানো হয়।

ইসি জানায়, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হামিদুল আলমকে তলব করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। হামিদুল আলমের স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বুধবার বগুড়া-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং বগুড়ার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোসা. শাহনাজ পারভীন হামিদুল আলমকে নোটিস দেন। নোটিসের জবাবে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন তিনি।

আদালতে ব্যাখ্যা দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য মানহানিকর। আপনারাও (সাংবাদিক) যা করছেন সেটিও অতিরঞ্জিত। কে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সেটিও আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা ১০০ ভাগ মিথ্যা। আমি তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী এলাকায় যাইনি। আমি ছুটিতে আছি এবং শহরে আছি। আমার সরকারি গাড়ি কর্মস্থলে রয়েছে। আপনারা চাইলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।‘

সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জানা নাই।’

পরে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।