কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৭ পিএম
জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী (লাঙ্গল) পনির উদ্দিন আহমেদের প্রচারণার একাংশ। প্রবা ফটো
কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. জাফর আলী মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর জোটের প্রার্থী (লাঙ্গল) পনির উদ্দিন আহমেদকে পরাজিত করতে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন।
জোটের প্রার্থীকে পরাজিত করতে নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন মো. জাফর আলীর জ্যেষ্ঠপুত্র ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল। এমন অভিযোগ জোটের প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদের। প্রতিকার চেয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত এক পত্রে কুড়িগ্রাম-২ আসনসহ দেশের আরও ২৫টি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। যেখানে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কুড়িগ্রাম-২ আসনে জোটভুক্ত (লাঙল) প্রার্থী থাকার কারণে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হল।
এই চিঠি পাওয়ার পরই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী। স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার হামিদুল হকের (ট্রাক প্রতীক) হয়ে মাঠে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। এতে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সভাপতির গ্রুপ স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ট্রাক প্রতীক) হয়ে কাজ করছেন আর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বৃহৎ অংশটি জোটের প্রার্থী লাঙ্গলের হয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দুগ্রুপের এমন বিভক্তিতে বিভ্রান্ত তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তারা নিঃসন্দেহে জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থে লড়ছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলাল বলেন, নেত্রী নৌকা প্রত্যাহার করে লাঙ্গল দিয়েছেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে কোনো কাজ করব না।
এ বিষয়ে জানতে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল এবং কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা সাড়া দেননি।
কুড়িগ্রাম জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রেদওয়ানুল হক দুলাল কর্তৃক হুমকির বিষয়ে পনির উদ্দিন আহমেদের (লাঙ্গল প্রতীক) লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।