টাকা-স্বর্ণালংকার ‘লুট’
ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৫২ পিএম
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:১২ পিএম
অভিযুক্ত পরশুরাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম। প্রবা ফটো
ফেনীর পরশুরামে উত্তর বাউরখুমা এলাকার একটি বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের রিরুদ্ধে তদন্তের নিদের্শ দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার হয়।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) পরশুরাম আমলি আদালতের বিচারক সায়ীদ মুহাম্মদ সাফায়েত এই নির্দেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর পরশুরামের উত্তর বাউরখুমা এলাকার মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী লাকী আক্তার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরশুরাম আমলি আদালতে মামলা করেন। মামলায় পরশুরাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম ও পুলিশ কনস্টেবল শেফালীকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগ আনা হয় পরশুরামের উত্তর বাউরখুমা এলাকার করিম, তার দুই ছেলে মো. হালিম ও মামুন এবং একই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে শাবলুর বিরুদ্ধে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সাইফ উদ্দিন মজুমদার বলেন, গৃহবধূ লাকীর তিন মেয়েকে হালিম, মামুন, শাবলু উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়ে লাকী স্থানীয় মেয়র ও পরশুরাম মডেল থানায় কয়েকবার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া প্রতিবেশী করিমের সঙ্গে লাকীর জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
আইনজীবী জানান, সম্প্রতি বাদী ইসলামী ব্যাংক পরশুরাম শাখা থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নেন। বিষয়টি জানতে পেরে হালিম, মামুন, শাবলু ও করিম টাকাগুলো আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করে। বিষয়টি তারা এসআই মোয়াজ্জেম ও কনস্টেবেল শেফালীকে জানান। পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদক থাকার অভিযোগ তুলে লাকীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানের সময় ওই দুই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ছিলেন মামলার অন্য আসামিরা।
আইনজীবী সাইফ উদ্দিন মজুমদার আরও জানান, এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী বাদীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ব্যাংক থেকে তোলা চার লাখ টাকা এবং এক লাখ টাকার মূল্যের একটি স্বর্ণের চেন নিয়ে যায়। পরে একটি টমটম গাড়ির চার্জারও নিয়ে যায় তারা। লাকীর শিশুপুত্র শাকিব ও জামাতা জিয়াউর রহমানকে মারধর করা হয়। আসামি হালিম, মামুন, শাবলু বাদী ও তার মেয়েদের শ্লীলতাহানী করেন।’