রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৯ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০৭ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালু। সংগৃহীত ছবি
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার আসামি রাজশাহীর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান ওরফে কালু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরপরও তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
কালু বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উত্তরবঙ্গের গরুর হাট সিটি হাটের ইজারাদার।
বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন ও ভোগদখলের সতত্যা পেয়ে গত বছর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারের তথ্যমতে, মো. আতিকুর রহমান (কালু) দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা প্রদান করেন। অনুসন্ধানে তার নামে মোট ১১ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য খাতের ব্যয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ টাকা। তার নামে ব্যয়সহ মোট ১৪ কোটি ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি মো. আতিকুর রহমানের (কালু) বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৪ হাজার ৪২১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের রেকর্ডভিত্তিক প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
দুদকের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা বলেন, ‘দুদকের করা মামলা অজামিনযোগ্য। আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। দুদক যদি মনে করে তবে তাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারে। এক্ষেত্রে দুদক চাইলে পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারে।’
মামলার পরও কালুকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি—তা জানতে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।